বাণিজ্য ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বোর্ড সভায় বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের আর্থিক খাতে জরুরি সংস্কারের প্রশংসা করেছে আইএমএফ। সংস্থাটির পরিচালকরা বলছেন, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও শর্ত পরিপালনে বাংলাদেশ পথচ্যুত হয়নি।
বাংলাদেশ আইএমফের ঋণ পাবে কী না, তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে রাজনীতির মাঠে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলেছে। তবে এসব গল্পকে পেছেনে ফেলে বাংলাদেশের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি নিশ্চিত হয়েছে। এই দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ। যা আগামী শুক্রবারের (১৫ ডিসেম্বর) মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ঢুকবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।
বর্ধিত ঋণসহায়তা বা ইসিএফ; বর্ধিত তহবিল সহায়তা বা ইএফএফ ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি বা আরএসএফ- এ তিন ভাগে ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ। এবার ইসিএফ বা ইএফএফের আওতায় ৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ডলার এবং আরএসএফের আওতায় ২২ কোটি ১৫ লাখ ডলার পেল বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে আর্টিকেল ৪ শীর্ষক পরামর্শ সম্পন্ন হলো সংস্থাটির।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ঋণ ছাড়ের মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয় যে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাগুলো শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে এবং তা অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির অর্থ ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে আইএমএফ সাত কিস্তিতে মোট ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেবে। এর গড় সুদ দুই দশমিক দুই শতাংশ । ২০২২ সালের জুলাইয়ে আবেদনের ছয় মাস পরই বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইএমএফ।
আইএমএফের পরিচালকেরা মনে করেন, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও সংস্থাটির শর্ত পরিপালনে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে পথচ্যুত হয়নি। এ ছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ যেসব সংশোধনমূলক ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ও জরুরি সংস্কার বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে, তাকেও স্বাগত জানিয়েছে সংস্থাটি।