হোম ফিচার বহু বুদ্ধিজীবী এখন টকশোতে যায় না: ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক:

টকশোতে গিয়ে সরকারবিরোধী বক্তব্য দিলে শায়েস্তা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। তাই বহু বুদ্ধিজীবী এখন টকশোতে যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে প্রয়াত ব্রি. জে. (অব.) আ স ম হান্নান শাহর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রের নাগরিক এখন কোনো স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে না। স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না। সরকারবিরোধী কোনো কথা বললেই তাকে শায়েস্তা করার হুমকি দেয়া হয়।

ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপি কোনো বিপদে নেই উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, বিএনপি ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে আরও শক্তিশালী হয়েছে। গোটা রাষ্ট্র আজ বিপদগ্রস্ত। জাতিকে বিপদমুক্ত করতেই বিএনপির এ আন্দোলন।

আমেরিকার ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ভিসা নীতি সেসব দেশের ওপরই পড়ে, যে দেশগুলো গণতন্ত্র হরণ করে। হত্যা, গুম করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এখন গণমাধ্যমের ওপরও নাকি ভিসা নীতি আসবে। তাহলে বাদ থাকছে কে? এটা লজ্জার কথা। এর পেছনে দায়ী শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার।

ফখরুল বলেন, আজ তথাকথিত অবৈধ সরকারে প্রধানমন্ত্রী নানা কথা বলায় বিদেশিদের বাংলাদেশের মুখোমুখি করে দিয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, যেটা এখন সাইবার নিরাপত্তা আইন, সেটা দিয়ে সাংবাদিক ভাইদের লেখালেখির ক্ষমতা হরণ করা হয়েছে। সাত বছরের বাচ্চাকেও এ আইন দিয়ে ধরে নিয়ে যায়। সরকারের বিরুদ্ধে কিছু লেখা কি পাপ? যে ধরে নিয়ে যেতে হবে। এ রকম দেশ আমরা চাইনি।’

‘এরাই আবার বলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এদের কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে। এদের অধীন কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না,’ যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এরা এখন দল ভাঙার চেষ্টা করছে। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতাদের নিয়ে দল গঠনের চেষ্টা করে বিএনপিতে ভাঙনের চেষ্টা করছে। তারপরও বিএনপিকে থামাতে পারছে না।’

বাংলাদেশের তথাকথিত উন্নয়নের যে কথা বলা হচ্ছে তাতে বাংলাদেশকে আরও বেশি ঋণগ্রস্ত করে তুলছে। ঋণ করে পোলাও খাওয়ার দরকার নেই বলেও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন