অনলাইন ডেস্ক:
অসাধু চক্রের ফাঁদ থেকে বের হতে পারছে না ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। থ্রি পিস, শাড়ি কিংবা বোরকা পড়ে বহুরূপ ধারণ করে একাধিকবার টিসিবির ট্রাক সেলের লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে এসব চক্রের নারী সদস্যরা। এতে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য কেনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নিম্নবিত্তরা।
শুধু সাজসজ্জা পরিবর্তনে থেমে নেই এই বহুরূপী চক্র। হুমকি-মারধর করেও টিসিবির পণ্য বাগিয়ে নিচ্ছে তারা। অসাধু এই চক্রের দৌরাত্ম্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে টিসিবি।
ভর্তূকিমূল্যে পণ্য কিনতে রাজধানীর ট্রাকসেল কার্যক্রমের এই কম দামের পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়ানো শত শত মানুষের মাঝেই ঘাপটি মেরে থাকে এই অসাধু চক্রের সদস্যরা। এদের দৌরাত্ম্যে লাইনে দাঁড়ানো অনেক ক্রেতা ফিরে যান খালি হাতে।
ভুক্তভোগীরা জানান, চক্রের সদস্যরা সবসময় থাকে। একজন একবার নিয়ে যায়, আবার এসে সামনে লাইনে দাঁড়ায়। তখন বাধা দিলে বলে, আগে দাঁড়ানো ছিল। বেশি প্রতিবাদ করলে মারধরও করে।
নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে ডিলাররা জানান, স্থানীয় লোকজনের কারসাজিতে ঠিকঠাক কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। অনেক সময় হুমকি-ধামকির মুখে বাধ্য হচ্ছেন একই ব্যক্তিদের কাছে বারবার পণ্য বেচতে। নিরুপায় হয়ে এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকার পণ্য বিক্রি কার্যক্রম।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, একটা চক্র আছে যারা কয়েকজন মিলে ইচ্ছাকরে ঝগড়া লাগিয়ে বিক্রিতে বাধা সৃষ্টি করে। এতে আমাদের লোকসান হচ্ছে। এ অবস্থায় কয়েকটি জায়গায় আমরা পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।
অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের বাজারে টিসিবির ট্রাকসেল বিক্রির কার্যক্রম পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে অনিয়ম ঠেকানো যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এগিয়ে আসতে হবে।
রাজধানীর ৫০টি স্থানে ট্রাকসেলের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালায় টিসিবি। প্রতিটি ট্রাক থেকে কার্ড ছাড়াও ৩৫০ জন ক্রেতা কিনতে পারেন এসব পণ্য।