জাতীয় ডেস্ক:
বরিশালে পৃথক দুই স্থান থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ জুন) দুপুরের পর সদর উপজেলার একটি মাছের ঘের থেকে ও অপরটি বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্রাবাসের কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘের থেকে উদ্ধার মো. হাসান (২২) নগরীর কাউনিয়া কালাখাঁ বাড়ি এলাকার ভাড়াটিয়া ও ভোলার তজুমদ্দিন এলাকার আব্দুল হাকীমের ছেলে। পেশায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ছিল হাসান।
বিএম কলেজের ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক (মুসলিম) হলের ছাত্রবাস থেকে উদ্ধার হয়েছে শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলামের (২৩)। তিনি বিএম কলেজের সমাজকল্যাণ বিষয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও মুসলিম হলের ১৩৪নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র। মাইনুল মাইনুল হিজলা উপজেলার বাউশিয়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে।
মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়ায় চরআইচার একটি মাছের ঘেরে রিকশাচালক হাসানের মরদেহ পড়ে ছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে জানিয়ে ওসি আসাদ বলেন, লাশে পচন ধরেছে। কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে সঠিক কারণ বলতে পারব।
এদিকে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া জানান, কলেজের মুসলিম হলের পরিত্যক্ত ১৪১ নম্বর কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ আসে। তখন শিক্ষার্থীরা ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পায়। বিষয়টি জানালে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করার পর শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলামের মরদেহ বলে শনাক্ত করে। মাইনুল হলের ১৩৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল। তার রুমমেটের বরাতে অধ্যক্ষ বলেন, গত ১৫ জুন সন্ধ্যায় সে বের হয়। এরপর আর রুমে ফেরেনি।
ঘটনাস্থলে থাকা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি বলেন, পরিত্যক্ত ঘরের টিনের চালার আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ধারনা করা হচ্ছে গত ১৫ জুন রুম থেকে বের হওয়ার পর আত্মহত্যা করেছে।
পরিদর্শক আরও বলেন, লাশের পচন ধরেছে। গরমের কারণে পচন একটু বেশি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবুও প্রকৃত কারন জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে।