জাতীয় ডেস্ক:
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরগুনায় একটি মহিলা মাদরাসায় ১০ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিভাবকদের অভিযোগ, ১০ শিক্ষার্থীকে নোংরা পানি পান করানো হয়েছে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বরগুনা আমতলী পৌর শহরে মাদানীনগরের একটি বাড়িতে পরিচালিত হয় মহিলা হাফিজিয়া মাদরাসা। এখানে হিফজ শাখায় লেখাপড়া করেন অর্ধশত ছাত্রী। গত ২ জুন রাতে ওই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতার মেয়ের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে নির্যাতনের অভিযোগ জানায় দশ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের বয়স ১০-১২ বছরের মধ্যে।
তাদের অভিযোগ, কে না কে ছবি তুলেছে তা তো আমরা জানি না। কিন্তু মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদেরকে ড্রেনের পানি, জুতা ধোঁয়া পানি এসব খাইয়েছে। আমাদের নামও কেটে দিয়েছে মাদরাসা থেকে।
মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুর রশিদ, তার স্ত্রী ও শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম, ছেলে মো. তাইয়েব ও মেয়ে নুসরাতের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অভিভাবকরা। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ অভিভাবকদের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন বলেও দাবি তাদের। তবে, ক্যামেরা দেখে পাল্টে ফেললেন সে বক্তব্য।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বরগুনার সাইয়্যেদেনা ফাতিমা মহিলা হাফিজিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রশিদ বলেন, অভিযোগ তো করতেই পারে কিন্তু এটা সত্য না।
ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, তিন সদস্যের একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। রিপোর্ট দেখলে বোঝা যাবে কী হয়েছে, কারা ঘটিয়েছে।