হোম জাতীয় বন্যপ্রাণীদের জন্য বেশি করে ফলদ গাছ লাগাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্ক:

বন্যপ্রাণীদের খাদ্যসংকট দূর করতে বেশি পরিমাণে ফলদ গাছ লাগাতে বন অধিদফতরের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

মঙ্গলবার (২০ জুন) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ‘মাদারীপুর জেলার আওতায় বিদ্যমান চরমুগুরিয়া ইকোপার্কের আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনায় সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন পরিবেশমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এটা স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। কারণ, প্রকল্প শেষ হলে পুনরায় খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। মাদারীপুরের চরমুগরিয়াসহ যেসব এলাকায় বানর বা অন্য বন্যপ্রাণীর নিয়মিত খাদ্য প্রয়োজন, সেখানে বেশি বেশি করে বন্যপ্রাণীর খাবার উপযোগী ফলদ গাছ লাগাতে হবে।

শাহাব উদ্দিন বলেন, হাওড় এলাকায় পুকুর ও বিল পুনর্খনন কাজ যথাসময়ে শেষ করতে হবে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল এভিয়ারি ও ইকোপার্ক, কক্সবাজার জেলায় সবুজ বেষ্টনী সৃজন, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার এবং ইকো-টুরিজম উন্নয়ন এবং সিলেট বন বিভাগে পুনঃবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ গুণগতমান বজায় রেখে করার আহ্বান জানান।

এ সময় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক নীলফামারীর জলঢাকা, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভালুকার হবিরবাড়ীতে ইকোপার্ক নির্মাণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রধান বন সংরক্ষকের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী।

সভায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন দফতরের প্রধান, প্রকল্প পরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ কার্যক্রমের অধীন ৯০০ উপকারভোগী কৃষকের প্রত্যেককে ১ বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন