জাতীয় ডেস্ক :
পণ্য ও গণপরিবহনের পর এবার লঞ্চ চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে সবাই ছুটছেন অনিশ্চিত যাত্রায়। দফায় দফায় যানবাহন পরিবর্তনই শুধু নয়, হেঁটে রওয়ানা হতে হয়েছে বেশিরভাগ মানুষকে। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বয়স্করা।
গণপরিবহন না থাকায় শনিবার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েন কাজে বের হওয়া মানুষ। হেঁটে দফায় দফায় যানবাহন পরিবর্তন করে ছুটতে হয়েছে গন্তব্যে।
তারা বলছেন, ভাড়া দ্বিগুণ বা তিনগুণ করে চাচ্ছে সিএনজি অটোরিকশাগুলো। তেলের দাম বৃদ্ধি, গাড়ি বন্ধ- এগুলো তো জনগণের ভোগান্তি।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অস্বস্তির সঙ্গে চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের পূর্বনির্ধারিত সূচি মানতে গিয়ে ক্ষোভ পৌঁছেছে চরমে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, পরীক্ষা হবে কিনা সন্দেহে ছিলাম। হলে ঢুকতে দেরি হয়ে গিয়েছিল।
সড়কের যখন এ অবস্থা, তখন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভরসার নৌপথও অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে জাহাজ পরিবহন মালিক সমিতি। তাদের দাবি, তেলের দামের সঙ্গে মিলিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করা না হলে সম্ভব নয় লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রাখা। তেলের দাম বাড়ার কারণে খরচ বেড়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো মালিকই জাহাজ চালাবে না।
এদিকে না জেনে যারা এসেছিলেন লঞ্চ টার্মিনালে তারাও পড়েছেন ভোগান্তিতে। তারা বলছেন, কেউ দাম বাড়াচ্ছে তো কেউ ধর্মঘট দিচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষের তো লাগামহীন ভোগান্তি শুরু হয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় গত শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে দেশজুড়ে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় শ্রমিক ও মালিক সংগঠনগুলো।
