জাতীয় ডেস্ক :
গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত বিদেশি জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নিঃসরিত তেল অপসারণে সক্ষমতা অর্জন করেছে উপকূলরক্ষী কোস্টগার্ড। নিরাপত্তায় ১২টির বেশি যেমন জাহাজ সাগরে মোতায়েন থাকছে, তেমনি সাগরে পড়া তেল শুষে নিতে বহরে রাখা হয়েছে চারটি বিশেষায়িত জাহাজ। গভীর সাগরে বিশেষ মহড়ার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে কোস্টগার্ড।
গভীর সাগর। জলদস্যুর কবলে পড়েছে একটি মার্চেন্ট শিপ। ডাকাতের কবলে পড়ে যোগাযোগও অনেকটা বিচ্ছিন্ন। এ অবস্থায় আকাশে লাল রঙের ফায়ার বোম ছেড়ে কোস্ট গার্ডের সহায়তা চায় জাহাজটি। আর নিজের অবস্থান শনাক্তে জাহাজ থেকে ছাড়া হয় কমলা রঙের ধোঁয়া। মুহূর্তের মধ্যে ৫০ নটিক্যাল মাইল গতিতে জাহাজের কাছে চলে আসে কোস্ট গার্ডের ২টি মেটাল শার্ক। জলদস্যুদের পরাস্ত করে জাহাজটিকে উদ্ধার করে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
গভীর বঙ্গোপসাগরে বিশেষ মহড়ার মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতা তুলে ধরে কোস্ট গার্ড। আর মহড়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানালেন কোস্ট গার্ডের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের কোস্টগার্ড সক্ষমতায় দিন দিন আরও এগিয়ে যাচ্ছে। জলদস্যুতা বন্ধে তারা অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। তারা প্রশংসিত হচ্ছে। সত্যিকারেই তারা ‘গার্ডিয়ান অব সি’ হয়ে উঠেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর এবং বন্দরের বহিনোঙ্গরে জাহাজ আসার সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সমুদ্র দূষণের শঙ্কাও। তাই সাগরে নিঃসরিত তেল অপসারণে চারটি বিশেষায়িত জাহাজ বহরে যুক্ত করেছে উপকূল রক্ষী হিসাবে কাজ করা এই বাহিনী। মহড়াতেও দেখানো হলো তেল নিঃসরণের চিত্র।
জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম বলেন, তেল ছড়িয়ে পড়লে কীভাবে আমরা নিঃসরণ করব তা আমরা দেখিয়েছি। এছাড়া বিদেশি জাহাজে আক্রমণ বা দুর্ঘটনা ঘটে সেটি কীভাবে আমরা ঠিক করব তা দেখিয়েছি। গভীর সাগরের বিশেষ এ মহড়ায় কোস্ট গার্ডের ৪টি জাহাজ, ৯টি বোট এবং একটি অগ্নিনির্বাপণ জাহাজ অংশ নেয়।