হোম জাতীয় বগি লাইনচ্যুত: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথে ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা

জাতীয় ডেস্ক:

গতি বেশি থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী কন্টেইনার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। দুর্ঘটনার পর রেললাইনে অস্থায়ী ভাবে বসানো কাঠের স্লিপারগুলো পরিবর্তন না করা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত রেল লাইনের ওই এলাকা দিয়ে সকল ট্রেনকে ১০ কিলোমিটার গতিতে চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কন্টেইনার ট্রেন দুর্ঘটনায় গঠিত চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য ও আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গতি বেশি থাকায় কন্টেইনার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কাঠের স্লিপার পরিবর্তন করে নতুন স্লিপার লাগানোর আগ পর্যন্ত রেললাইনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দিয়ে ১০ কিলোমিটার গতিতে সকল ট্রেনকে চলাচলের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। স্লিপার পরিবর্তনের পর আবারও আগের নিয়মে ট্রেন চলবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, শহরের কলেজপাড়ার লেভেল ক্রসিং এলাকার আউটার সিগন্যাল থেকে রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সকল ট্রেন ধীরগতিতে ১০ কিলোমিটার বেগে চলবে। নতুন রেললাইন বসানো হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে রেলপথ কর্মীরা কাজ শুরু করেছেন। কাজ শেষ হলে সকল ট্রেন আগের গতিতে চলবে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম থেকে ৩২টি বগি নিয়ে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী কন্টেইনার ট্রেনটি রোববার সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের আগ মুহূর্তে শহরের কলেজপাড়া এলাকায় পৌঁছালে
হঠাৎ করে ট্রেনের ৩১নং বগির পেছনের চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। পরে ট্রেনের চালক লাইনচ্যুত হওয়া বগিসহ ট্রেনটিকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করেন। এতে রেললাইন, ফিসপ্লেইট, হুক, নাট, বল্টু, স্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দুর্ঘটনার পর আপলাইনে (ঢাকা অভিমুখী) ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে সকল প্রকার ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে ডাউনলাইন (চট্টগ্রাম অভিমুখী) দিয়ে বিকল্প পন্থায় কিছুটা বিলম্বে সব ধরনের ট্রেন চলাচল করে। পরে লাইনচ্যুত হওয়ার ১০ ঘণ্টা পর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কন্টেইনার ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধার করার পর আপ লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে কন্টেইনার ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার পর রেলওয়ে ঢাকার সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা-১- সাজেদুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে রেলওয়ে বিভাগ। তদন্ত কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন