জাতীয় ডেস্ক:
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় ফেসবুকে ‘পাত্রী চাই ‘ স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ মে) রাতে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।
গ্রেফতার শিবলী সাদিক নাঈমের (৪১) বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায়।
পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশীষ কুমার দে জানান, শিবলী ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে মীরসরাইয়ের শিল্পনগরে নির্মাণাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। মীরসরাই, সীতাকুণ্ড, পতেঙ্গা এলাকায় ভাসমানভাবে থাকেন তিনি।
শিবলী ‘আসলাম চৌধুরী’ নামে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতেন। কয়েকদিন আগে তিনি ফেসবুকে ‘পাত্রী চাই’ লিখে কয়েকবার স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি নিজেকে পল্লী বিদ্যুতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রাম শহরে তার নিজস্ব বাড়ি ও গাড়ি আছে বলে উল্লেখ করেন। ঠিকানা লিখেন- নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার কাতিরহাট গ্রাম।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী ২৭ বছর বয়সী তরুণীর বাড়ি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায়। মায়ের সঙ্গে থাকেন নগরীর পতেঙ্গা এলাকায়। স্বল্পশিক্ষিত তরুণী প্রায় বাক প্রতিবন্ধী। তার মা-ও বাক প্রতিবন্ধী। মৃত বাবাও বাক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
এসআই আশীষ বলেন, ফেসবুকে পাত্রী চাই স্ট্যাটাস দেখে ওই তরুণী শিবলীর সঙ্গে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করেন। কয়েকদিন কথাবার্তার পর তাকে বিয়ে করার কথা বলে গত ১৩ মে তার সঙ্গে পতেঙ্গার চরপাড়ায় একটি হোটেলে দেখা করেন শিবলী। সেখানে রাতভর তাকে আটকে রেখে কয়েকবার ধর্ষণ করেন। পরদিন সকালে তাকে মোটরসাইকেলে ফৌজদারহাটে আউটার রিং রোডের মুখে নিয়ে যায়। সেখানে তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে নামিয়ে দ্রুত বেগে মোটরসাইকেল নিয়ে শিবলী পালিয়ে যান।
১৬ মে ওই তরুণী পতেঙ্গা থানায় আসলাম চৌধুরী নাম উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামির চেহারা শনাক্ত করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান চিহ্নিত করে তাকে বুধবার রাতে শিল্পনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ওই তরুণীর মোবাইল দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এসআই আশীষ বলেন, গ্রেফতারের পর আমরা তার আসল পরিচয় জানতে পারি। ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন- তার নাম আসলাম চৌধুরী, বাবার নাম অলিফ। বাড়ি নেত্রকোনা। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তার নাম শিবলী সাদিক নাঈম।
গ্রেফতার শিবলীকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।