শিক্ষা ডেস্ক :
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সশরীরে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে এ পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ক্লাস অনলাইনে চললেও দাপ্তরিক কার্যক্রম সশরীরে চলবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী রোববার (৯ জানুয়ারি) থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাত্ত্বিক ক্লাসসমূহ (সাপ্তাহিক ছুটির দিনের প্রোগ্রামসহ) অনলাইনে নেওয়া হবে। স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে একাধিক গ্রুপ করে ব্যবহারিক ক্লাসসমূহ এবং একাধিক কক্ষে পরীক্ষাসমূহ সশরীরে নেওয়া হবে।
জনসমাগম এবং সংক্রমণ কমানোর উদ্দেশে এই পদ্ধতিতে ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আগমন নিষিদ্ধ করা হয়। বলা হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ক্যাম্পাসে বহিরাগত আগমন নিষিদ্ধ করা হলো। বিশ্ববিদ্যালয়কে পিকনিক স্পট বা মিলনমেলার স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। রেজিস্ট্রারকে অবহিত না করে ক্যাম্পাসে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলো।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্ত-কর্মচারীগণদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা বা টিকা নেওয়ার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কেউ যদি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন তাদের চিকিৎসার জন্য কয়েকটি হাসপাতালের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারকের কথা উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সেখানে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ যাতে দ্রুত চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন সে লক্ষ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাথে সমঝোতা স্মারক করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল, বিভাগ, ইনস্টিটিউট এবং অফিসে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সুস্থতার দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের বিষয়টি অফিস প্রধান, হল প্রাধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানগণ নিশ্চিত করা এবং প্রতি হলে একাধারে চার জন শিক্ষার্থীর জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থা রাখার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রিকশা চালক ও দোকানদারদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এবং গেইটসমূহের দোকানদার এবং রিকশা চালকদের অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশনা অমান্যকারীদের দোকান বন্ধ এবং ক্যাম্পাসে রিকশা চালাতে দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়।