হোম রাজনীতি ফেনীর দাগনভুঞায় আওয়ামী লীগের ‘লাঙ্গল মিছিল’

রাজনীতি ডেস্ক:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ (দাগনভুঞা, সোনাগাজী) আসনের জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রার্থী লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সমর্থনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঙ্গলের মিছিল করেছে।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত দাগনভুঞার সিলোনিয়া বাজার, বেকের বাজার, দাগুনভুঞা বাজার, মুন্সিবাড়ির দরজা, দুধমুখা বাজারসহ ১০টি বাজারে এ মিছিল হয়। সবাই স্ব স্ব এলাকায় পৃথক পৃথক এ মিছিলগুলো করে।

দাগনভুঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতনের নেতৃত্বে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিলে অংশ নেন। এ সব মিছিলে ফেনী-৩ আসনের জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীও অংশ নেন। মিছিল শেষে তারা গণসংযোগও করেন।

আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল বশরের পরিবর্তে মিত্র জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রেসিডিয়াম সদস্য অবসর প্রাপ্ত লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে নাঙ্গল প্রতীকে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ফলে আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামার পরও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল বাশারকে দলীয় সিদ্ধান্তে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে হয়েছে। আবুল বাশারের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর আসনটিতে নৌকা শূন্য হয়। এরপরও লাঙ্গলের জয়ের জন্য মাঠে নামে আওয়ামী লীগ।

দাগনভুঞা বাজারে পথসভায় দাগনভুঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন বলেন, আমরা আমাদের নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। শেখ হাসিনার অস্তিত্ব রক্ষার্থে আমরা লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে জাতীয় পার্টিকে জয় যুক্ত করবো।

এদিকে একই সভায়, লাঙ্গলের প্রার্থী ও ফেনী-৩ এর জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী নিজেকে শেখ হাসিনার প্রতিনিধি দাবি করে বলেন, বিগত পাঁচ বছর এলাকার সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে শান্তির পরিবেশে মানুষ যেন বসবাস করততে পারে সে চেষ্টা করেছি এবং পেরেছি। ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আগামীতেও একই অবস্থা ধরে রাখতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো প্রতিনিধিকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে।

ফেনী-৩ আসনে নির্বাচনের মাঠে ১০জন প্রতিদ্বন্দিতায় রয়েছেন। এরমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ১১টি সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে আওয়ামী লীগ ২ বার, বিএনপি ৫ বার, জাতীয় পার্টি ৩ বার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ বার নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল বাশার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লে.জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এককভাবে মাঠে ছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী রহিম উল্লাহ্। যিনি জেদ্দা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য।

মনেনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্ট গড়িয়ে এ আসনে নির্বাচনী মাঠে নতুন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আসেন মো. ইশতিয়াক আহমেদ সৈকত। তিনি আসনটিতে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়া আবুল বাশারের ছেলে। সৈকত নির্বাচনী মাঠে আসার পর নতুন সমীকরণে ভোটের লড়াই হবে ত্রিমুখী।

এ ত্রিমুখী লড়াইয়ে জাতীয় পার্টির ভোটে মুখ দিয়েছে এ আসনের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সাবেক উপদেষ্টা আনোয়ারুল কবির (রিন্টু আনোয়ার)। আসনটির ২টি উপজেলায় ২টি পৌরসভা ১৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৩ জনের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৬ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৮৬ জন, তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ জন। মোট ১৪৪টি ভোট কেন্দ্রের ভোটকক্ষ ৯৮৮টি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন