জাতীয় ডেস্ক :
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা যেন দ্রুত দুর্ঘটনা মোকাবিলা ও উদ্ধার তৎপরতা চালাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার কাজী আলাউদ্দীন রোডে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর অধিদফতরের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে একথা জানান তিনি।
সুউচ্চ ভবনে অগ্নি নির্বাপণ কর্মকাণ্ডকে দ্রুততার সঙ্গে করতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে উপস্থিত হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে সম্মেলন কক্ষে নিয়ে যান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
এরপর সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবাইকে স্বাগত জানান এবং ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করায় মন্ত্রী, সচিব এবং অতিথিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন অধিদফতরের মহাপরিচালক।
শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ইফতারের পর গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের সব বিভাগ ও জেলা অফিসসমূহেও একইভাবে ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের নিজস্ব মসজিদগুলোতে ইফতার শেষে মোনাজাতে ফায়ার সার্ভিসসহ সারা দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।
সদর দফতর মসজিদে দোয়া পরিচালনা করেন ফায়ার সার্ভিসের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মো. খালেদ আহসান। মোনাজাতে জাতির পিতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সব শহীদ, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও তার পরিবারের সব শহীদ, অপারেশনাল কাজে আত্মবিসর্জন দেওয়া ফায়ারফাইটার সোহেল রানা ও আব্দুল মতিনসহ সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।
উল্লেখ, ১৯৮১ সালের ৯ এপ্রিল তৎকালীন ফায়ার সার্ভিস পরিদফতর, সিভিল ডিফেন্স পরিদফতর এবং সড়ক ও জনপথের রেসকিউ ইউনিটের সমন্বয়ে পুনর্গঠিত হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর।