খেলাধূলা ডেস্ক :
অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ হয়ে গেছে তৃতীয় দিনেই। দুই ইনিংসে টাইগার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় জয়ের জন্য স্বাগতিকরা টার্গেট পেয়েছে মাত্র ৮৪ রানের। তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান করা ক্যারিবীয়দের হাতে আছে আরো দুই দিন। প্রয়োজন মাত্র ৩৫ রান, হাতে আছে আরও ৭ উইকেট। তবে সাকিব বাহিনী চাইবে কিছু উইকেট তুলে নিয়ে হারের ব্যবধানটা কমাতে।
অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
এর সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্বের প্রত্যাবর্তনে অ্যান্টিগা টেস্ট জমিয়ে তুলেছে টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২৪৫ রানে অলআউট হলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ৮৪ রান। অথচ এ লক্ষ্যটাকেই পাহাড়সম করে তোলে সফরকারি পেসাররা।
তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে একাই তিন উইকেট তুলে নিয়ে, ক্যারিবীয় টপ অর্ডারে ধস নামান খালেদ আহমেদ। যেখানে অধিনায়ক ব্রাথওয়েট, রেইফার ও বোনারকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ান এই পেসার। যদিও টাইগারদের সেই উচ্ছ্বাস স্থায়ী হয়নি। চতুর্থ উইকেটে ৪০ রান যোগ করে ধাক্কা সামাল দেন ক্যাম্পবেল ও ব্ল্যাকউড। ফলে অ্যান্টিগা টেস্ট জয়ের জন্য চতুর্থ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ৩৫ রান। আর বাংলাদেশের দরকার ৭ উইকেট। ক্রিজে ২৮ রানে জন ক্যাম্পবেল ও ১৭ রান করে অপরাজিত আছেন জার্মেইন ব্লাকউড।
এর আগে, ১১২ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ।এদিন দেখে শুনে খেলার চেষ্টা করলেও নিজের ইনিংস খুব একটা লম্বা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। মাত্র ৯ রান যোগ করে আউট হন দলীয় ৬৪ রানে। খারাপ সময়টা দ্বিতীয় ইনিংসেও পেছনে ফেলতে পারেননি মুমিনুল হক। লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে ফেরেন মাত্র ৪ রান করে।
ভালো করতে পারেননি লিটস দাসও। এরপর দলীয় ১০৯ রানে মাহমুদুল হাসান জয় আউট হলে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। তবে সপ্তম উইকেটে সোহানকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সাকিব আল হাসান।
দু’জনের শতরানের জুটিতে লিড নেয় টাইগাররা। যেখানে ক্যারিয়ারের ২৯ তম ফিফটি তুলে নেন মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ। যদিও ব্যক্তিগত ৬৩ রানে রোচের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন সাকিব।
অধিনায়ক ফেরার পর নতুন বল সামলাতে পারেনি সোহানও। ক্যারিয়ার সেরা ৬৪ রান করে রোচের বলে আউট হন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। বেশিক্ষণ টেকেননি এবাদত ও মোস্তাফিজও। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন পেসার কেমার রোচ।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করেছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৬৫ রানে অলআউট করে সাকিব বাহিনী।