হোম রাজনীতি ফরিদপুর-৩: মনোনয়নের পরে বিজয় মিছিল থেকে সিঅ্যান্ডবি ঘাট খাজনা ঘরে হামলার অভিযোগ

রাজনীতি ডেস্ক:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুটি আসন বাদ রেখে ২৯৮ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ফরিদপুর সদর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন শামীম হক। মনোনয়ন ঘোষণার পর রোববার বিকেলে তার সমর্থকরা ফরিদপুরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট খাজনা ঘরে হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় খাজনা ঘরের স্টাফ মনোয়ার হোসেনকে মারধর করে তার কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

ফরিদপুর সদর উপজেলার ২নং ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হায়দার আলী খান অভিযোগ করে বলেন, ‘শামীম হকের পক্ষে মিছিলকারীরা বিনা উস্কানিতে এ ঘটনা ঘটায়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্ততি চলছে।’

ডিক্রিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু সমকালকে বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে শামীম হকের বিজয় মিছিল যাচ্ছিল। পথে তারা অতর্কিত হামলা চালায় খাজনা ঘরে। এ সময় ডিক্রিরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আবুর নেতৃত্বে ৭-৮ জন ব্যক্তি মানোয়ার হোসেনকে মারধর করে ও গালিগালাজ করে।’

ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু জানান, চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তিনি সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে সরকারি খাস কালেকশন চলে। ওরা (শামীম হকের লোকেরা) চায় এখান থেকে চাঁদা নিতে। ওদের নেতা শামীম হক দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরই ওরা আবার জোট বেধে ক্ষমতা দেখাতে এসেছে।’

এ সময় ডিক্রিরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আবু, মেহেদী হাসান বাবু, তাবু ফকির, ওহাব শেখ, রাব্বি শেখ, শোভন, রাজু , স্বপন ও মিলন হামলায় অংশ নেয় বলে জানান চেয়ারম্যান।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আনোয়ার হোসেন আবু বলেন, ‘আমরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় মিন্টু চেয়ারম্যানের লোকজন আজেবাজে কটূক্তি করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কথা কাটাকাটি হয়।’ সিঅ্যান্ডবি ঘাটের খাজনা ঘরে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন