ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর জেলা পুলিশের এক প্রেস বিফিং এ আজ শনিবার বেলা দুইটায় ফরিদপুর জেলা পুলিশের কার্যালয় অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে অভিনব কায়দায় প্রতারণাকালে প্রতারক চক্র গ্রেফতার, স্ট্যাম্প ও চেক উদ্ধার সংক্রান্তে এই প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদান করেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা জেলা পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ফরিদপুরে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ
জানানো হয় উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিং এ জানানো হয়, ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার কর্তৃক স্বচ্ছ ও মেধার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে ফরিদপুর জেলায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে আবেদনকারী প্রার্থীরা যাতে কোন দালাল চক্রের দ্বারা প্রতারণার স্বীকার না হয় সে লক্ষ্যে ফরিদপুর জেলা পুলিশ, জেলা বিশেষ শাখা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস টিমকে নজরদারী করার জন্য নির্দেশ দেন। অতঃপর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও জেলা বিশেষ শাখা নজরদারীকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি প্রতারকচক্র কনস্টেবল পদে নিয়োগের অভিনব কায়দায় প্রার্থীর অভিভাবকদের প্রতারিত করছে। যার ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদ পাওয়া যায় যে, সাধনা বিশ্বাস তার মেয়ে দীপা রাজবংশী কনস্টেবল পদে চাকুরি প্রত্যাশি। প্রতারকচক্র পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আট লক্ষ টাকা চুক্তি সম্পাদন করে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে স্ট্যাম্প ও চেক নিয়েছে। কিন্তু তার মেয়ের পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হয় নাই। বিষয়টি জানার পর বাদীকে থানায় অভিযোগ দায়েরের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।
তৎপ্রেক্ষিতে বাদী তার এজাহার দায়ের করলে উক্ত মামলাটি রুজু হয় এবং মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখা, ফরিদপুরের এসআই (নিঃ)/মোহাম্মদ হান্নান মিয়া এর উপর অর্পন করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ)/মোহাম্মদ হান্নান মিয়াসহ ডিবি পুলিশের চৌকস টিম তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ শেষে উপরোক্ত ০১। মিরান মোল্লা ও ০২। বিল্লাল মাতুব্বর নামে দুই আসামী কে গত গতকাল রাতে রাত ১১:৪৫ মিনিটের সময় কোতয়ালী থানাধীন ঝিলটুলি হতে গ্রেফতার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদকালে ধৃত আসামী মিরান মোল্যা ও বিল্লাল মাতুব্বর জানায় যে, আসামী আক্কাস মোল্যা বাদীর মেয়ে দীপা রাজবংশীকে কনস্টেবল পদে চাকরি দিয়ে দিতে পারবে মর্মে জানায়। আসামীরা পরস্পর যোগসাযোসে পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বাদীর নিকট আট লক্ষ টাকা চুক্তি করে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ও চেকে স্বাক্ষর নেয় মর্মে স্বীকার করে। আসামীদের উপরোক্ত তথ্যাদির আলোকে ০৩। আসামী আক্কাস মোল্যাকে নগরকান্দা থানাধীন পুড়াপাড়া সাকিন হতে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত তিনটায় গ্রেফতার করে তার হেফাজত হতে ভিকটিম দীপা রাজবংশীসহ অপর ০২ জন কনস্টেবল পদে চাকরির আবেদন ফরম, বিভিন্ন ব্যক্তির নামীয় ব্যাংকের ১৪ টি ব্ল্যাংক চেক, ১০০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ০৭ টি ও ০১ টি ৫০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পসহ মোট ০৮ টি স্ট্যাম্প উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত আছে।