জাতীয় ডেস্ক :
ফরিদপুরের বৃহৎ ব্যবসায়ী কেন্দ্র কানাইপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল ৯টা থেকে স্থানীয় হাইস্কুলে এই ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যদিও স্থানীয় প্রশাসন গত ৩ ফেব্রুয়ারি ওই নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা দেয়। অথচ নির্দেশনা অমান্য করেই নির্বাচন পরিচালন করছে সমিতির নির্বাচন কমিশন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুল আলম স্বাক্ষরিত নির্বাচন স্থগিতের ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘ফরিদপুরে করোনাভাইরাস উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় কানাইপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে ব্যাপক জনসমাগম ঘটবে, যা করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটাতে পারে। বিষয়টি বিবেচনা করে জনস্বার্থে নির্বাচনটি আপাতত স্থগিতের জন্য বলা হলো।’
সরকারি এই আদেশের পরও বণিক সমিতির নির্বাচন কমিশন সেটিকে তোয়াক্কা না করেই নির্বাচন পরিচালনা অব্যাহত রাখে। নির্বাচন প্রসঙ্গে এক সভাপতি প্রার্থী শেখ আকতার বলেন, ‘সরকারি আদেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমিসহ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি; কিন্তু নির্বাচন কমিশন তো ঠিকই নির্বাচন পরিচালনা করছে, তাহলে আমাদের কী অপরাধ ছিল?’
এ বিষয়ে শনিবার রাতে (৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থী ও নির্বাচন কমিশনকে ডেকে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আবারও জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন বন্ধের আহ্বান জানান।
কানাইপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন পরিচালনা বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জুলফিকার আলী মিনু মোল্যা বলেন, গত ১২ জানুয়ারি এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। বাজারের ১১৭২ জন ব্যবসায়ী এখানে ভোটার রয়েছেন। এ ছাড়াও তিনজন সভাপতি ও তিনজন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীসহ মোট নয় পদে ৩৪ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।
সরকারি আদেশের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রশাসন থেকে আমাদের নিষেধ করা হয়েছিল; কিন্তু বাস্তব অবস্থায় নির্বাচন না করলে আমাদের টিকে থাকা কঠিন, তাই নির্বাচন পরিচালনা করছি।’
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায় বলেন, ‘মহামারি করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা আপাতত কানাইপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিয়েছিলাম; কিন্তু সমিতির নির্বাচন কমিশন সেই আদেশ অমান্য করেছে।’ সরকারি আদেশ অমান্য করায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।