অনলাইন ডেস্ক:
ফরিদপুরের মধুখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে হামলার ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী বিপ্লবের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে রাতে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় উভয়পক্ষের ৮ থেকে ১০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহতদের মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান, আতিয়ার হোসেন ও বিপ্লবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা বলেন, ‘গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিপ্লবের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।’
বিপ্লবের সমর্থকরা বলেন, ‘মতিয়ার রহমান দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের ওপর হামলা করার নির্দেশ দেন। এমনকি নারী ও শিশুদের ওপরও হামলা চালানো হয়। আমাদের বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমানসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওসি জানান, এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং সাহিদ শেখ বাদী হয়ে ১৭ জনের নামে পৃথক দুইটি মামলা করেছেন।