অনলাইন ডেস্ক:
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী গ্রামে টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর আতমা হালিম।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু সোনাতন্দী গ্রামে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের হাতে ২৫ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি তেল, ১ কেজি পেঁয়াজ ও ২ কেজি লবণ তুলে দেন।
এসময় সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতবর, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শেখ সাদিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী দেলোয়ার, বল্লভদী ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে সন্ধ্যায় সোনাতন্দী গ্রামে গিয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর আতমা হালিম ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর নেন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৫ হাজার টাকা, চাল, ডাল ও তেল তাদের হাতে তুলে দেন। এছাড়া তিনি প্রত্যেক পরিবারকে দুই বান্ডিল করে ঢেউটিন দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগ নেতা হাজী শফিকুর রহমান মিলন, বল্লভদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লুলু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লিটন কাজী, বল্লভদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকির হোসেন (জাকু কাজী), বল্লভদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিস মাতবর, সাধারণ সম্পাদক সাজাহান মাতবর, যুবলীগ নেতা রাসেল খানসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অমিত দেবনাথ ও সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর নেন। এ সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করেন।
এদিকে দুপুরে জেলার ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ও আজিমনগর গ্রামে পরিদর্শনে যান ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদুর রহমান, ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম। এসময় হামিরদী ও আজিমনগর ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের হাতে চাল, ডাল, তেল, আটা ও লবণ তুলে দেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী, আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদর, টগরবন্ধ ইউনিয়ন, ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ও আজিমনগর গ্রামে আকস্মিক টর্নেডোতে শতাধিক পরিবারের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে যায়। এসময় গাছের নিচে চাপা পড়ে ছোট হামিরদী গ্রামের শাহাবুদ্দিন শেখের স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (২০) মারা যান। ঘরের নিচে ও গাছের ডাল ভেঙে কমপক্ষে আরও ৫ জন আহত হন। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে শতাধিক পরিবারের সদস্যরা। এখনও কয়েকটি গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।