হোম খুলনাবাগেরহাট ফকিরহাটে টানা বৃষ্টিতে ঘেরসহ আমন বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশংকা

ফকিরহাটে টানা বৃষ্টিতে ঘেরসহ আমন বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশংকা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 48 ভিউজ

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের ফকিরহাটে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতের ফলে নিচু এলাকার অনেক কৃষকের আমন বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। এতে আমন চাষিরা এ মৌসুমে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। এছাড়া বৃষ্টির পানিতে অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় পানি ঢুকে পড়েছে অনেক সবজি ক্ষেতে। ফলে সবজি চাষিরাও পড়েছেন বিপাকে।

অপরদিকে, টানা বৃষ্টিটর কারনে উপজেলার পুকুর ও মৎস্য ঘেরগুলো পানিতে ভরে গেছে। পরিস্থিতি “ছুঁই-ছুঁই” অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে ঘের ও পুকুর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

পাশাপাশি টনাবিষ্টির কারণে খেটে খাওয়া মানুষেরা নানান দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে দিনমজুর ভ্যান চালক এবং নিম্ন আয়ের মানুষেরা এই সময়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন। কারণ বৃষ্টিতে তাদের কাজকর্মে বিঘœ ঘটছে। এতে তারে আয় কমে গেছে।

কৃষক মো: বিল্লাল হোসাইন ও মো: রাজেদ শেখসহ কয়েকজন কৃষক জানান, টানা বৃষ্টিতে তাদের বীজতলা একেবারে তলিয়ে গেছে। এতে তারা বীজতলার ক্ষতির আশংকা করছেন।
মৎস্যচাষী কালিপদ বিশ্বাস, শেখ মনি, জাকির হোসেনসহ কয়েকজন মৎস্য ঘের চাষীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, ঘেরগুলেঅ খুই ঝুকির মধ্যে আছে। টানা বৃষিতে ঘেরগুলো পানিতে ডুবু ডুবু অবস্থা। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে হাজার হাজার ঘের তলিয়ে ব্যপক ক্ষতির সম্ভবনা আছে বলে তারা জানান।

বিভিন্ন বøকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানান, টানা বৃষ্টিতে শাক সবজির বেশি ক্ষতির আশংকা রয়েছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে বীজতলার তেমন ক্ষতি হবে না। এছাড়াও বৃষ্টির পানি দ্রæত নামলে ধানেরও তেমন ক্ষতি হবে না।

ফকিরহাট সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আছাদুল্লাহ জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার অধিকাংশ খাল-বিল পুকুর ও ঘের পানিতে ছুঁই ছুই অবস্থা। এমন পরিস্থিতি আরো কয়েকদিন চলতে থাকলে অনেক ঘের ও পুকুর তলিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে পানি যাতে দ্রæত নিস্কাশন হতে পারে তার জন্য মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে। মাইকিং করে সকলকে জানানো হচ্ছে কোন নদী ও খালে জাল-পাটা থাকলে দ্রæত সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।

ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ফকিরহাট উপজেলায় এবার ৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের বীজতলা করেছে কৃষকরা। এরমধ্যে ১০ হেক্টর বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ১৪০০ হেক্টর জমিতে সবজিচ চাষ করা হয়েছে। যারমধ্যে ২০ হেক্টর জমির জববি পানিতে তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি উপজেলায় ২০৭ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ করেছেন কৃষকরা। এরমধ্যে ৩ হেক্টর জমির পানিতে ডুবে গেছে। তিনি আরো বলেন, বৃষি আরো কয়েকদিন হলে বীজতলা, সবজি ও ধানের ব্যপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। আর বৃষি থেমে গেলে ক্ষতির সম্ভবনা খুবই কম রয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন