ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ফ্লেয়ার পদে চাকরীরত বিএম হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ফকিরহাট বাজারে স্থানীয় দোকানদাররা আটকে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় দোকানদারদের দাবী তিনি নিজেকে সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে দোকারদারদের নিকট থেকে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ আদায় করে থাকেন।
ফকিরহাট বাজারে অরণ্য স্টোরের মালিক গৌরঙ্গ দেবনাথ, ফাহিম স্টোরের মালিক আলী আহম্মদসহ কয়েকজন দোকানদার বলেন, কৃষি বিপণন অফিসের এই ব্যাক্তি বিভিন্ন সময়ে আমাদের দোকানে এসে বিভিন্ন অযুহাতে টাকা দাবী করে। গত মাসেও আমরা তাকে ৫০০ টাকা দিয়েছি। এখন আবার এসে টাকা দাবী করছেন।
বাজারে মুদি দোকানদার পলাশ কুমার দেবনাথ বলেন, লাইসেন্স করার কথা বলে সে আমার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়েছে। রিপন কুমার সরকার নামে আরেক দোকানদার বলেন, ওই ব্যাক্তি আমাকে চাপ প্রয়োগ করে লাইসেন্স করে দেওয়ার নামে ১ হাজার টাকা নিয়েছেন। আজ আবার এসে টাকা চাইলে আমরা সবাই মিলে তাকে আটকে রেখেছি।
অভিযুক্ত বিএম হাবিবুর রহমান বলেন, দোকানদারদের লাইসেন্স করে দেওয়ার জন্য আমি তাদের সহযোগিতা করি। আমার আসা যাওয়া ও লাইসেন্স খরচ বাবদ তাদের কাছ থেকে টাকা নেই। দোকানদারদের সব অভিযোগ সত্য নয়।
ফকিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার বলেন, বিভিন্ন সময়ে হাবিবুর রহমান দোকান মালিকদের কাছ থেকে আইনের ভয়ভীতি দেখিয়ে অনৈতিকভাবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি কথা শুনেছি। আজ আবার টাকা চাইতে আসলে দোকানদার মিলে তাকে আটকে রাখে। আমি ঘটনাস্থলে এসে পুলিশেকে খবর দিয়ে তাকে থানায় হস্তান্তর করেছি।
ফকিরহাট মডেল থানার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ মো. খায়রুল আনাম বলেন, দোনদারদের অভিযোগ পেয়ে হাবিবুর রহমানকে থানায় নিয়ে এসেছি। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উর্ধতণ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাগেরহাট কৃষি বিপণন কর্তকর্তা জিএম মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ফ্লেয়ার বিএম হাবিবুর রহমানের দায়িত্ব বাজার মনিটরিং করা। যেহেতু ব্যবসায়ীরা ব্যস্ততার কারণে ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিয়ে লাইসেন্স করাতে সময় পায় না, তাই তিনি তাদের সহায়তা করেন। একটি লাইসেন্স করতে ভ্যাটসহ সাড়ে সাতশত টাকার মতো খরচ হয়। তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহে ফকিরহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় তিনি সাথে ছিলেন। এ কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষূব্ধ হয়ে তাকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসাতে পারেন।