স্পোর্টস ডেস্ক:
বিপিএলে খুলনা টাইগার্স ও দুর্বার রাজশাহীর প্লে-অফ নানা সমীকরণে আটকে ছিল। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে এসে ঢাকা ক্যাপিটালসকে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স। তাতে করে অপেক্ষায় থাকা দুর্বার রাজশাহী প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে। শনিবার আগে ব্যাটিং করে ঢাকা ১২৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। জবাবে মেহেদী হাসান মিরাজের অধিনায়কোচিত ইনিংসে ১৯ বল আগে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা। এই জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে মিরাজের দল প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। দুর্বার রাজশাহীর পয়েন্টও সমান ১২। কিন্তু নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় তারা বাদ পড়ে গেছে।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। কিন্তু লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয় কাটাতে পারেনি ঢাকা। কেবলমাত্র তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে কোনওরকমে ১২৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস। তারপরও রান রেট ভালো রেখে এগিয়ে যায় ঢাকা। দুই উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে তুলে ফেলে ৫৪ রান। এরপরই একের পর এক উইকেট পড়লে দিশা হারায় দলটির ইনিংস। এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করে যান তানজিদ হাসান তামিম। ৩৭ বলে ১ চার ও ৭ ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন জুনিয়র তামিম। তার ইনিংসে ভর করে ঢাকা ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১২৩ রান। সাব্বির রহমান ২০, মেহেদী হাসান রানা ১৩ এবং লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ১০ রানের ইনিংস। এর বাইরে কেউই দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি।
খুলনা টাইগার্সের বোলারদের মধ্যে উইলিয়াম বোসিস্ট ও হাসান মাহমুদ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুশফিক হাসান, জিয়াউর রহমান ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
১২৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তিন ওভারের মধ্যে ১৪ রানে দুই উইকেট হারালেও ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি খুলনার। তৃতীয় উইকেটে মিরাজ ও অ্যালেক্স রস মিলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন। ১৯ বলে ২২ রান করে রস আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর জুটি গড়েন মিরাজ-বোসিস্ট। তাদের জুটিতে যোগ হয় ৩৮ রান। দলকে জয়ের কাছে রেখে ১৮ রানে ফেরেন বোসিস্ট। তার পর মিরাজ-নওয়াজের ব্যাটে ১৯ বল আগেই খুলনা ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে। মোহাম্মদ নওয়াজ ৬ ও মিরাজ ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫৫ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় খুলনার অধিনায়ক নিজের ইনিংসটি সাজান।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ১৬ রানে নেন তিনটি উইকেট। বাকি একটি উইকেট নেন রহমত আলী।