হোম জাতীয় প্রধানমন্ত্রী আমার রাজনৈতিক জীবনের অনুপ্রেরণা : স্পিকার

জাতীয় ডেস্ক:

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতি আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতিবিদরা যখন আমাদের বাসায় আসতেন, আমি তাদের আলোচনা শুনতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার রাজনৈতিক জীবনের অনুপ্রেরণা।

শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আলোকী কনভেনশন সেন্টারে টেড-এক্স গুলশান আয়োজিত ‘এমপাওয়ারিং উইমেন ইন দ্য পাবলিক সেক্টর : ব্রেকিং ব্যারিয়ারস, ব্রেকিং ন্যাশনস’ শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে পাওয়া আমার সর্বোত্তম উপহার শিক্ষা। পিতা-মাতা আমাদের দুই বোনকে শিক্ষিত করেছেন। তারা আমাদের ন্যায়-সাম্য-সমতা শিখিয়েছেন, যা আমাদের সব বাধা পার হতে সাহায্য করেছে। একজন আইনজীবী, একজন রাজনীতিবিদ এবং সর্বোপরি একজন নারী হিসেবে দেশকে সেবা দেওয়াই আমার আজীবন লালিত স্বপ্ন।

স্পিকার বলেন, আমার পিতা বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর মুখ্যসচিব হিসেবেও কাজ করেছেন। সুতরাং রাজনীতির সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা ছোটবেলা থেকেই। ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি, একজন নারী হিসেবে সংসদ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হবো কি না সে বিষয়ে তখন বিভিন্ন আলোচনা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি সে দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করে চলেছি।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পড়ালেখা, বিদেশে উচ্চশিক্ষা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে প্র‍্যাকটিস করা– প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবার-পরিজনদের সাহায্য ও সমর্থন পেয়েছি। বাংলাদেশের নারীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করলে সহজেই তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। একজন নারীর বহুমুখী চ্যালেঞ্জ থাকে। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই নারীকে জয়ী হতে হয়।

আলোচনা সভায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, টেড-এক্স গুলশানের কিউরেটর আশফাক জামান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ড. রুবানা হক, বিবিসির কনটেন্ট স্ট্রাটেজিস্ট অংকিতা বকশী, গণমাধ্যমকর্মী এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন