হোম ফিচার প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে ফখরুলের বক্তব্যের প্রতিবাদে কাদেরের নিন্দা

রাজনীতি ডেস্ক:

ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়া থেকে একমাত্র অথিতি দেশ হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বিশ্বনেতাদের অনেকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হয়। সেই সাক্ষাৎ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে শিষ্টাচারবর্জিত ও অমার্জিত বক্তব্য দেন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ নিন্দা জানান ওবায়দুল কাদের।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশ্বনেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। সুদক্ষ নেতৃত্ব, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব এবং কর্মকুশলতার উজ্জ্বল প্রভায় বিশ্বনেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্র পরিচালনায় তার মেধা, মনন, সততা ও সাফল্যে এক সময়ের দরিদ্রপীড়িত অনিশ্চিত অর্থনীতির বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী পদক্ষেপ ও গৃহীত নীতির কারণে গত দেড় দশকে বাংলাদেশ যে সফলতা অর্জন করেছে তা নজিরবিহীন উল্লেখ করে কাদের বলেন, সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় অসাধারণ যোগ্যতা ও দক্ষতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বনেতাদের সম্মানসূচক অভিব্যক্তিতে প্রতিফলিত হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।

জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর গৌরবোজ্জ্বল উপস্থিতি দেশের আপামর জনগণকে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত ও গর্বিত করেছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তোলা সেলফি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা শুভবোধসম্পন্ন কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছ থেকে জাতি প্রত্যাশা করে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কোনো বন্ধু নেই বলে বিএনপি নেতারা এতোদিন ধরে যে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে, তার যথার্থ জবাব এই সেলফিতেই প্রতিফলিত হয়েছে। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টই নন, অন্য বিশ্বনেতারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উষ্ণ মনোভাব নিয়ে কুশল বিনিময় করেছেন। যার ছবি ও সংবাদ এরইমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কাদের বলেন, দেশপ্রেমিক কোনো ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক সংগঠন দেশকে বন্ধুহীন করার আকাঙ্ক্ষা লালন-পালন করতে পারে না।

বিএনপি হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে দীর্ঘদিন ধরে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা তাদের বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছে। তারা বিদেশি প্রতিনিধি এবং সংস্থার কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তাদের সরবরাহ করা বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করলে বিএনপি পুলকিত বোধ করে এবং বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে দাঁড় করানোর চক্রান্ত করে।

কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশের শতকরা ২৯ ভাগ মানুষ বিভিন্ন ভাতার আওতায় এসেছে। সারাদেশে ১৩ লাখের বেশি ভূমিহীন/ গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে ঘর দেয়া হয়েছে। পদ্মাসেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ একের পর এক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে ধারাবাহিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির মধ্য দিয়ে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ আজ একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সরব উপস্থিতি তারই প্রমাণ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন