রাজনীতি ডেস্ক:
শেষ হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ। এতে ১,৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ছাড়াও নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত অন্তত ৮ জন নেতা জয়ী হয়েছেন।
এছাড়া কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে মোট ২৮ জন প্রার্থী আগেই বিজয়ী হয়েছেন।
২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে হয়। সেসময় ভোট বর্জন করেছিলো বিএনপিসহ সরকার বিরোধীরা। সেই নির্বাচনে ভোট পড়েছিলো ৪১ শতাংশের বেশি। এর আগে ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলায় ৬১ শতাংশ, ২০০৯ সালে তৃতীয় উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়ে প্রায় ৬৮ শতাংশ। এই দুটি নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা।
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে কম ভোটের রেকর্ড হয়েছে। তবে ভোটের দিন বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, সহিংসতা হলেও বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। এতেই স্বস্তি নির্বাচন কমিশনের (ইসি)।
কেমন হলো এবারের উপজেলা ভোটের প্রথম ধাপ
এদিকে প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটের পরিবেশ স্বস্তিদায়ক ছিলো বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বিএনপির ভোটে না আসা, সরকারের ক্ষমতার পরিবর্তন না হওয়াসহ নানা কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো। তবে বিএনপির ভোট বর্জন নিয়েও সমালোচনা করেছেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ভোটের পরিবেশ স্বস্তিদায়ক হয়েছে আগের তুলনায়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মতো না। সেখানে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি হয়। নেতার সংখ্যাও থাকে অনেক বেশি। সে জায়গায় নির্বাচন কমিশনের একটু ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মাত্র চার মাসের মাথায় ভোট হওয়ায় ভোটারদের উপস্থিতি কম হওয়া স্বাভাবিক। পাশাপাশি বিএনপির ভোটে না আসাও ভোটারের হার কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ।
তিনি আরও বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ নেতাকর্মীরা যেন সহিংসতায় জড়িয়ে না পড়ে, সেক্ষেত্রে হয়তো তারা (নির্বাচন কমিশন) সফলতা পেয়েছে। তবে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ অনেকখানি কমে গেছে।
বিএনপির ভোট বর্জন নিয়ে ঢাবির এই অধ্যাপক বলেন, ‘নির্বাচন বর্জন করে কখনো রাজনীতিতে টিকে থাকা যায় না। প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। রাজনীতি হলো একটা যুদ্ধের জায়গা, এখানে ফাইট করতে হবে।’
এদিকে ২১ মে ১৬০ উপজেলায় হবে দ্বিতীয় ধাপের ভোট। এ নির্বাচনে মোট ২০৫৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।