রাজনীতি ডেস্ক:
প্রকাশ্যে টাকা বিতরণের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আনোয়ার খানকে শোকজ করেছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান নোয়াখালীর সিনিয়র সহকারী জজ পলাশ বন্ধন শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এ শোকজ নোটিশ দেন।
এতে বলা হয়েছে, লক্ষ্মীপুর-১ এর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অমান্য করে নির্বাচনী প্রচারণায় কতিপয় ব্যক্তিদের মধ্যে স্বয়ং নিজেই নগদ টাকা বিতরণ করেন। ওই নগদ টাকা বিতরণ করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে মর্মে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, নগদ টাকা বিতরণের ভিডিও ক্লিপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির বরাবরে দাখিল করেন। আপনার এ রূপ কার্য সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ৩ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ অবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেনও নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করা হবে না সেজন্য আগামী শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে সশরীরে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৯১ এ (৫) (এ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে আপনাকে নির্দেশ দেয়া হলো।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. আনোয়ার হোসেন খানের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, আনোয়ার খান নিজের পকেট থেকে কয়েকটি ৫০০ টাকার নোট বের করে এক ব্যক্তির হাতে দিয়েছেন৷
ওই ব্যক্তি পাশে থাকা একজন বৃদ্ধ লোককে টাকাগুলো গুঁজে দেয়ার চেষ্টা করছেন৷ তবে ভিডিওতে ওই বৃদ্ধ লোককে টাকা নিতে অপারগতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
ভিডিওর একটি অংশে আনোয়ার খানকে বলতে শোনা যায়, তোরা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে লাইন ধরে ভোট দিয়ে আসবি। তোরা কিছু খাইছ, চা-পানির জন্য দিয়ে গেলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভিডিওটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রচারণা চলাকালীন উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের খলিফা দরজা সংলগ্ন নৌকার অফিসের বাইরের। সেখানে শেখ কাউসার নামে এক যুবলীগ নেতার হাতে টাকাগুলো দেন। ওই যুবলীগ নেতা সেগুলো এক বৃদ্ধ লোকের হাতে দেয়ার চেষ্টা করেন। বৃদ্ধ লোকটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বলে জানা গেছে।
ভিডিওটির বিষয়ে আনোয়ার খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই এলাকায় গিয়ে আমি দোকানে চা-নাশতা খেয়েছি। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরাও চা-নাশতা খেয়েছেন। চায়ের দোকানের বিল দেয়ার জন্য টাকাগুলো দিয়েছি। ভোটারদের কোনও টাকা দেয়া হয়নি।’