হোম আন্তর্জাতিক পোর্টল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের

পোর্টল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 55 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ওরেগন রাজ্যের পোর্টল্যান্ড শহরে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শহরে আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) কেন্দ্র ও অন্যান্য ফেডারেল স্থাপনাকে রক্ষা করতে তিনি প্রয়োজনে ‘পূর্ণ শক্তি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ট্রাম্প এই ঘোষণা নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে প্রকাশ করেন।

ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত পোর্টল্যান্ড রক্ষার জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে প্রয়োজনীয় সব সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অ্যান্টিফা এবং অন্যান্য দেশীয় সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে আইসিই কেন্দ্রগুলো সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রয়োজন হলে পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করা হবে।

তবে স্থানীয় কর্মকর্তারা সেনা মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করেছেন। পোর্টল্যান্ডের মেয়র কিথ উইলসন বলেছেন, ‘শহরে আইনশৃঙ্খলা বিপন্ন নয়, প্রয়োজনীয় সেনা সংখ্যা শূন্য।’ ওরেগনের গভর্নর টিনা কোটেকও বলেন, ‘কোনো জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি নেই, সম্প্রদায় শান্ত ও নিরাপদ। যে কোনো মোতায়েন ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে।’

ট্রাম্পের এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তার প্রশাসনের ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। জুন থেকে পোর্টল্যান্ডের আইসিই কেন্দ্রগুলি বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, যা প্রায়ই সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইসিই কেন্দ্রের উপর অগ্নিসংযোগ, পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা এবং গ্রেফতারে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ২৬ জনের বিরুদ্ধে ফেডারেল মামলা হয়েছে।

এ সপ্তাহে ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে অ্যান্টিফাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশীয় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অ্যান্টিফা মূলত অতিবামপন্থি কর্মীদের ঢিলেঢালা আন্দোলন, যা যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত নয়।

পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্টের নির্দেশে পোর্টল্যান্ডে ডিএইচএস কার্যক্রমে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছি। প্রয়োজনমতো তথ্য ও আপডেট প্রদান করা হবে।’

গত কয়েক মাসে ট্রাম্পের প্রশাসন ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন শহরগুলিতে সেনা মোতায়েন এবং ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েন বাড়াচ্ছে, যার লক্ষ্য মূলত অভিবাসী ও সামাজিক বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করা। তবে এই পদক্ষেপের আইনি ভিত্তি এবং প্রয়োগের সীমানা স্পষ্ট নয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন