জাতীয় ডেস্ক:
সমুদ্র কিছুটা শান্ত হওয়াতে মাছ শিকারে ছুটছেন উপকূলের জেলেরা। দীর্ঘ সময় কর্মহীন অবস্থায় ঘাটে নোঙর করে থাকার পর এবার অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই সমুদ্রে যাচ্ছেন তারা।
তবে মৎস্য বিভাগ বলছেন, এখনও বৈরী আবহাওয়ার রেশ কাটেনি পুরোপুরি। মাছ শিকারি জেলেদের সতর্ক অবস্থানে থেকে উপকূলের কাছাকাছি মাছ ধরার জন্য বলা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এক সপ্তাহের বেশি সময় ঘাটে নোঙর করে থাকার পর এবার সমুদ্রের দিকে ছুটেছেন হাজার জেলে ট্রলার।
তবে এখনও পুরোপুরি কাটেনি বৈরী আবহাওয়ার রেশ। সমুদ্র উত্তালও রয়েছে বেশ। ঝুঁকি জেনেও এরমধ্যেই মাছ শিকারের জন্য গভীর সাগরে রওনা দিয়েছেন অনেক জেলে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পটুয়াখালীর উপকূলের জেলেরা সমুদ্রে নামতে শুরু করেন।
জেলেরা জানান, আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকূলে না এলেও পেটের দায়ে ঝুঁকি জেনেও সমুদ্রে যাচ্ছেন তারা। সমুদ্র উত্তাল থাকায় টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ঘাটে বসে থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে জেলেদের। এ অবস্থায় সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথই খোলা নেই তাদের।
পটুয়াখালীর কোড়ালীয়া মৎসজীবী মালিক সাবেক সভাপতি নাসির মৃধা জানান, ২৩ জুলাই ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর দফায় দফায় যাচ্ছে প্রতিকূল আবহাওয়া। ভালোভাবে এক সপ্তাহ মাছ ধরতে পারে নাই জেলেরা। এ অবস্থায় জেলে, আড়তদার, মৎস্য ব্যবসায়ী এবং এই পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অবস্থা নাজুক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি দেখেই জেলেরা সমুদ্রে যাচ্ছেন। তবে এখনও যেহেতু আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকূলে আসেনি, তাই সকর্ত অবস্থানে থেকে জেলেদের মাছ শিকার করতে বলা হয়েছে।
এর আগে দুই দফা সমুদ্রে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে জেলেদের। উত্তাল সমুদ্রে জাল ফেলতে না পেরে কিছু সময় অপেক্ষা করে আবার তীরে ফিরতে বাধ্য হন জেলেরা।
সমুদ্র তীরবর্তী এ জেলার প্রায় এক লাখ জেলের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে সমুদ্রে মাছ শিকারের ওপর। দীর্ঘ সময় কর্মহীন থাকার কারণে এসব জেলে পরিবারের দিন কাটছে এখন খেয়ে না খেয়ে।