বাণিজ্য ডেস্ক :
পেঁয়াজের দাম কমে গেলে বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, কৃষকেরা এত ঝুঁকি নিয়ে, পরিশ্রম করে পেঁয়াজ চাষ করে, তাদের স্বার্থকে দেখতে হবে। আমরা প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করছি, পেঁয়াজের দাম বেশি কমে গেলে আমদানি বন্ধ করে দাম বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কৃষকদেরকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ফরিদপুরের সদর উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে শাহিদা বেগম এর পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শনকালে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনের মৌসুমে দাম কম থাকে, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখলে একটু দাম বাড়ে, তাতে ভোক্তাদের কষ্ট বাড়ে ও সমালোচনা শুরু হয়। এটি সরকারের জন্য উভয়সংকট। সেজন্য, আমরা কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
পেঁয়াজবীজ চাষিদের জন্য ঋণের ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে বলে এসময় জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, দেশের আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কিন্তু সমস্যা হলো পেঁয়াজ খুবই পচনশীল। দেশে এখনও পেঁয়াজের পচনরোধে কোনো প্রযুক্তি নেই ও সংরক্ষণের জন্য কোনো কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা যায়নি। সেজন্য, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ সম্প্রসারণ ও পেঁয়াজ সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
পরিদর্শনকালে কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক হযরত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শাহিদা বেগম পেঁয়াজবীজ চাষি হিসেবে পরিচিত। ইতোমধ্যে তিনি অনেকগুলো পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২১ সালে পেঁয়াজবীজ বিক্রি করে ৭৫ লাখ টাকা মুনাফা করেছেন বলে জানান শাহিদা বেগম।