স্বাস্থ্য ডেস্ক:
পেঁয়াজের মতোই এর পাতার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। পেঁয়াজ এবং পেঁয়াজ পাতা– এ দুইটাই আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকি। পেঁয়াজ পাতা কে আমরা পেঁয়াজের কলি হিসেবে বেশি চিনি। পেঁয়াজের মতো পেঁয়াজ পাতা যে অসাধারণ গুণাবলির অধিকারী তা আমাদের অনেকেরই অজানা।
পেঁয়াজের পাতা অনেক ধরনের রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চাইনিজ বা কন্টিনেন্টাল খাবারে পেঁয়াজের পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ধারণা করা হয় ৫০০০ বছর আগে চিনে প্রথম উৎপন্ন হয় পেঁয়াজ পাতা।
জেনে নিন পেঁয়াজ পাতার উপকারিতা-
১. পেঁয়াজ পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেল কাজে বাধা প্রদান করে কোষ কলার এবং ডিএনএ এর ক্ষতি রোধ করতে পারে। পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি কোলেস্টেরল ও রক্ত চাপের উচ্চ মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
২. অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় পেঁয়াজ পাতা সাধারণ ঠান্ডা, ফ্লু ও ভাইরাল ইনফেকশনের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
৩. পেঁয়াজ পাতায় উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে থাকে যা হাড়ের স্বাভাবিক কার্যাবলির জন্য প্রয়োজনীয়।
৪. লুটেইন ও জেনান্থিন নামক ক্যারোটিনয়েড এর উপস্থিতির জন্য পেঁয়াজ পাতা চোখের প্রতিরক্ষায় প্রভাব বিস্তার করে। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন এ যা স্প্রিং অনিয়ন এর সবুজ অংশে থাকে।
৫. সবুজ পেঁয়াজের সালফার যাতে অ্যালাইল সালফাইড থাকে তা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। সবুজ পেঁয়াজে ক্যানসার বিরোধী উপাদান ফ্লেভনয়েড থাকে।
৬. সবুজ পেঁয়াজ গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যা প্রশমনে উপকারী ভূমিকা রাখে। রুচি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ও পেঁয়াজ পাতার উচ্চ মাত্রার ফাইবার হজম সহায়ক।
৭. পেঁয়াজ পাতার খনিজ উপাদান সালফার ছত্রাকের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে এবং ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।
৮. পেঁয়াজ পাতায় অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি হিস্টামিন উপাদান থাকে যা আরথ্রাইটিস ও অ্যাজমার চিকিৎসায় ভালো ফল দেয়, বিপাকে সহায়তা করে, চোখের অসুখের জন্য ভালো, ত্বকের কুঞ্চন প্রতিরোধ করে ও রক্তের সুগারের মাত্রা কমায়।