মিলন হোসেন,বেনাপোল:
মিথ্যা অভিযোগে মাদক মামলার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ উঠিয়েছে শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়ানের সেতাই ও আমলাই গ্রামের যথাক্রমে জাকির হোসেন ( পিতা মৃত জলিল মোল্যা) ও আলি হোসেন ( পিতা আবুল হোসেন)। তাদের অভিযোগ শার্শা থানার বাগআঁচড়া পুলিশ ফাড়ির এ এস আই মাসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী জাকির হোসেন বলেন, গত ৫ আগষ্ট আমি রাত্রে মাছ ধরে বিল থেকে ফেরার সময় আমাকে সেতাই ব্রিজ থেকে এএসআই মাসুদ আটক করে নিয়ে যায়। তারপর আমাকে ২৬ বোতল মদ দিয়ে মামলা দিয়ে চালান করে দেয়। আমার গ্রামের পুলিশের সোর্স বলে খ্যাত ফজলু ওই দারোগাকে দিয়ে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি মিথ্যা মামলায় যশোর জেল খানায় ছিলাম। আমার নামে এ পর্যন্ত থানায় কোন মামলা নেই।
ওপরদিকে আলী হোসেন বলেন আমি ওই দিন রাত্রে বাড়ি থেকে খেয়ে আমার মাছের ঘেরে যেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে পুলিশ আমার বাড়ি খুজতে আসে। আমাকে না পেয়ে পুলিশ চলে যায়। পরদিন শুনি পুলিশ আমাকে জাকিরের সাথে ওই ২৬ বোতল মদ এর মামলায় আসামি করেছে। বিষয়টি আমি যশোর নাভারণ সার্কেল এ এসপি জুয়েল ইমরানকে ও অবহিত করেছি। এরপর আমি ওই মামলায় ১১ দিন পালিয়ে থেকে আত্নসমার্পন করে জেল হাজতে যাই। পরে জামিনে মুক্ত হই। আমার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ায় আমি বৃষ্টির সময় আমার মাছের ঘেরে কাজ করতে না পারায় প্রায় ৫ লাখ টাকার মাছ ভেসে যায়। আমি এর দৃষ্টান্ত মুলক বিচার চাই। আমার নামে ও এলাকার কেউ এপর্যন্ত মাদক ব্যবসা করি এরকম কোন অভিযোগ আনতে পারবে না।
বাগঅঁচড়া পুলিশ ফাড়ির এ এসআই মাসুদ বলেন রাত ১১ টার সময় আমি সেতাই ব্রিজ থেকে ২৬ বোতল মদ উদ্ধার করি। মদের মালিক জাকির তখন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে রাত ২ টার সময় তাকে মাছের ঘের থেকে আটক করি। এবং জাকির এর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আলী হোসেনের নামে মামলা দেই।