অনলাইন ডেস্ক:
শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সে সময় সরকার কার্যত অচলাবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। পুলিশ রাস্তায় বের হতেও ভয় পাচ্ছিল। আমরা জানতাম না, এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেব।
বুধবার (১১ জুন) যুক্তরাজ্যের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত সংলাপে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান তিনি।
যখন সিটি কর্পোরেশনের বুলডোজার দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছিল, তখন প্রশাসন কেন চুপ ছিল- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘দেশে সে সময় একসঙ্গে অনেকগুলো প্রশ্ন আর সমস্যা চলে এসেছিল। সবকিছু একসঙ্গে ঠিকভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। এটা এমন একটা সময় ছিল, যার মধ্য দিয়ে আমরা গেছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাটাই তখন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় কাজ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেসময় সরকার কার্যত অচলাবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। পুলিশ রাস্তায় বের হতেও ভয় পাচ্ছিল। আমরা জানতাম না, এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেব।’
পরবর্তী সরকারে থাকার কোনো ইচ্ছে নেই ড. ইউনূসেরপরবর্তী সরকারে থাকার কোনো ইচ্ছে নেই ড. ইউনূসের
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এটা এমন এক সময় ছিল, যখন পুলিশ নিজেই জনগণের কাছে বৈধতা হারিয়েছিল। মানুষ তখন বলছিল, ‘আমার ভাইকে, ছেলেকে, বোনকে তোমরা গুলি করেছ- এখন আমাকে বাড়ি যেতে বলছ?’ মানুষ তখন পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। তখন পুলিশ যদি রাস্তায় নামত, জনগণ তাদের মারধর করত।’
‘আমরা সেই পুলিশকে (আগের সরকারের থেকে) পেয়েছিলাম, যারা কিছুদিন আগেই শিশুদের ওপর গুলি চালিয়েছে’- যোগ করেন তিনি।
তবে ড. ইউনুস বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। ভাগ্যক্রমে, সময় আমাদের পক্ষে কাজ করেছে। মানুষ আবার পুলিশকে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। এখন দেশে আবার শৃঙ্খলা ফিরেছে। আর এটাই ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’