জাতীয় ডেস্ক :
ফরিদপুরের সালথায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে গ্রেফতার হওয়ায় এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের ছয়আনি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের ছয়আনি পাড়ায় তারা মিয়া (৫৩) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করতে যান সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খারদিয়া এলাকার বিট কর্মকর্তা মো. নাজমুল ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. লিয়াকত হোসেন। তারা আসামিকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার ১৮ থেকে ২০ জন নারী চড়াও হয়ে ওই দুই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তাদের কাছ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নেন।
আসামি তারা মিয়া খারদিয়ার ছয়আনি পাড়ার বাসিন্দা মৃত মো. মোফাজ্জেল মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বলেন, ‘পুলিশের ওই অভিযানে কোনো নারী পুলিশ সদস্য না থাকায় নারীদের পক্ষে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া সহজ হয়েছে।’
খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যদুনন্দী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে ওই এলাকায় বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত ২১ এপ্রিল খারদিয়া এলাকায় এই দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় পরে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়। মামলার আসামি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া গ্রেফতার হন। গত বৃহস্পতিবার উভয়েই আদালত থেকে জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন।
তারা মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মোল্যার সমর্থক। তিনিও পুলিশের উপর হামলার মামলার আসামি। এ ছাড়া তার নামে ২০১৯ সালে একটি এবং ২০২০ সালে দুটি মামলা রয়েছে। চার মামলার এ আসামিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে নারীদের হামলার শিকার হন ওই দুই পুলিশ সদস্য।
তবে এ বিষয়ে যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিক মোল্যার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাকে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
