হোম আন্তর্জাতিক পুতিনের মৃত্যু কামনাকারী নারীর ৮ বছর কারাদণ্ড

পুতিনের মৃত্যু কামনাকারী নারীর ৮ বছর কারাদণ্ড

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 8 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মস্কোর সামরিক আদালত ৪৩ বছর বয়সী নারীকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। অনলাইনে ইউক্রেন যুদ্ধবিরোধী মন্তব্য করা ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যু কামনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এই রায় দেওয়া হয়। রুশ সংবাদমাধ্যমের বরাতে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত নারীর নাম আনাসতাসিয়া বেরেঝিনস্কায়া। দুই শিশু সন্তানের মা এই রুশ নাগরিক মস্কোর একজন নাট্যপরিচালক। দুটি সেন্সরশিপ আইনে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রুশ সেনাবাহিনীকে হেয় প্রতিপন্ন করা, তাদের নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ও সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করার অভিযোগে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রথম কয়েক মাসে অনলাইনে ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধবিরোধী পোস্ট দিয়েছিলেন বেরেঝিনস্কায়া। তিনি বলেছিলেন, রুশ সেনাবাহিনী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রেসিডেন্ট পুতিন মিলে ইউক্রেনে ‘জাতিগত নিধন’ চালাচ্ছে। ওই বছরের ১৪ মে ভিকোনটাকটে নামক একটি সামাজিক নেটওয়ার্কে ৩৬টি পোস্ট করেছিলেন তিনি। সেখানে পুতিনকে নিয়ে অপমানসূচক মন্তব্য করে তিনি দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনের বেসামরিক নারী, পুরুষ ও শিশুদের মৃত্যুর জন্য ব্যক্তিগতভাবে পুতিন দায়ী।

আরেক পোস্টে পুতিনকে হত্যার আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘ওই অথর্ব পুতিনকে কেউ গুলি করুন। পৃথিবী থেকে তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিন। আর কত বেসামরিকের মৃত্যু আমাদের দেখতে হবে?

মানবাধিকার সংগঠন ওভিডি ইনফোর মতে, ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করায় রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি লোককে গ্রেফতার ও সহস্রাধিক মানুষকে ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার, ৬৮ বছর বয়সী এক শিশু বিশেষজ্ঞকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মস্কোর একটি আদালত। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তার এক রোগীর মা। অভিযোগে বলা হয়, ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ সেনাদের বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

বেরেঝিনস্কায়ার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে ব্যর্থ হয়েছে রয়টার্স। তাই, সাজাপ্রাপ্ত নারী আপিল করবেন কিনা, তা জানা যায়নি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিডিয়াজোনার দাবি, বেরেঝিনস্কায়া ‘মিক্সড পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারে’ আক্রান্ত। তার ৮ ও ১০ বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। তার স্বামী মৃগী রোগে আক্রান্ত।

আদালতে দেওয়া চূড়ান্ত বক্তব্যে বেরেঝিনস্কায়া বলেছেন, তার কোনও কিছু বলার নেই। আদালতের যেকোনও রায় তিনি মাথা পেতে নেবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন