নিজস্ব প্রতিনিধি :
কুমিল্লা, চট্রগ্রাম, চাঁদপুর, রংপুর, নোয়াখালী, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পুজা মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম আলো বন্ধুসভার আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কে উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে এ সময় একত্বতা প্রকাশ করে মনববন্ধনে অংশ নেয়, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বদেশ, প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংগঠন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, এইচআরডিএফ-সাতক্ষীরাসহ মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, কবি সাহিত্যিক, আইনজীবী, সাংবাদিক, ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
প্রথম আলো বন্ধুসভা সাতক্ষীরার সভাপতি মরিয়াম কেয়ার সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি রবিউল ইসলামের সঞ্চলনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ, কবি ও সাহিত্যিক স.ম তুহিন, সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক এম.কামরুজ্জামান, সেলিম রেজা, মানবাধিকার কর্মী মাধব দত্ত, উদীচি শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য আসিফ শাহবাজ খান, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি রাশেদুজ্জামান, হেড সংস্থার নির্বাহী পরিচালক লুইস রানা গাইন,প্রথম আলো বন্ধু সভার সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, পাঠ চক্র বিষয়ক সম্পাদক মৌতাষি চ্যাটার্জী ও প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামন্ডপসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘরে ভাংচুর, হামলা ও লুটপাট করা হয়েছে যা কোন স্বাধীন দেশে হতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় বিশ্বাসী বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এ ধরণের ঘৃর্ণ ও জঘন্য কর্মকান্ড কোনো বিবেকমান মানুষ মেনে নেবে না।
অস্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল মানুষের জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা না গেলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে। দেশে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় ও সংখ্যালঘুদের আস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হলে অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।