হোম বিনোদন পিয়া জান্নাতুলের ব্যক্তিগত সহকারী হতে ১৫ মিনিটে ১০০ আবেদন!

পিয়া জান্নাতুলের ব্যক্তিগত সহকারী হতে ১৫ মিনিটে ১০০ আবেদন!

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 22 ভিউজ

বিনোদন ডেস্ক:
বড় ব্যক্তিত্বদের কাজের পরিধি বিশাল। নিজ হাতে সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। প্রয়োজন হয় ব্যক্তিগত সহকারীর। দেশের শোবিজ অঙ্গনও এর বাইরে নয়। প্রায় কমবেশি সব তারকাদেরই দু-একজন করে সহকারীর প্রয়োজন পড়ে।

আন্তর্জাতিক মানের মডেল ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুলও প্রয়োজন বোধ করছিলেন ব্যক্তিগত সহকারীর। বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যা হয়েছে বিড়ম্বনার কারণ। কেননা ১৫ মিনিটে ১০০ আবেদন জমা পড়েছে।

পোস্টে পিয়া লেখেন, ‘আমি একজন অত্যন্ত উৎসাহী ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে যোগদানের জন্য খুঁজছি। যিনি আমার সঙ্গে অফিসে এবং বাইরে- উভয়দিকেই কাজে সহযোগিতা করতে আগ্রহী থাকবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই নমনীয় হতে হবে এবং কাজ সম্পর্কিত আমার সাথে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

সেখানে নিজের ই-মেইল অ্যাড্রেসটিও যোগ করে দেন পিয়া। আর সেখানে আবেদন করতে থাকেন আগ্রহীরা।

কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায়ে খানিকটা বিব্রত প্রকাশ করেন পিয়া জান্নাতুল। কারণ, সেই পোস্টে চাকরি প্রত্যাশীদের আগ্রহ ছিল তুলনামূলক বেশি। পিয়ার দাবি, অনেকে বেশিই উৎসাহ প্রকাশ করছেন যা অপ্রয়োজনীয়। তাদের উদ্দেশ্যে বিনীত অনুরোধও রাখেন পিয়া।

পিয়া মন্তব্য ঘরে লেখেন, ‘অনুগ্রহ করে আপনার কাজের বিবরণটি বুঝুন। আপনি যদি ঢাকা বা দেশের বাইরে থাকেন, তাহলে আবেদন পাঠাবেন না। ১৫ মিনিটে ১০০ আবেদন পেয়েছি। দয়া করে আপনার ও আমার- উভয়েরই সময় নষ্ট করবেন না।’

অনুরাগীদের কাছে পিয়া জান্নাতুল নামেই বেশি পরিচিত তিনি। ১৬ বছর বয়স থেকেই যুক্ত মডেলিংয়ে। বলে রাখা ভালো, বছর খানিক আগে এক মুচকি হাসিতে নেটিজেনদের নজর কেড়েছিলেন পিয়া জান্নাতুল। তখন থেকে রাতারাতি ন্যাশনাল ক্রাশ হয়ে ওঠেন পিয়া। মূলত ভাইরাল সেই ভিডিওতে মুখ ঢেকে খানিক লাজুক অবস্থায় পিয়াকে হাসতে দেখা যায়। এ সময় তার পরনে ছিল না তেমন কোনো আকর্ষণীয় পোশাক, ছিলেন তার দাপ্তরিক পোশাক- কালো গাউনেই।

ভিডিওটি ভাইরালের সময়ও অনেকে জানতেনও না, মুচকি হাসিতে হৃদয় কাবু করে দেওয়া এই নারী একজন মডেল।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায়’ বিজয়ী হয়ে মডেলিংয়ে যাত্রা শুরু করেন পিয়া। এরপর ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি’ শিরোপা এবং মিশরে ‘ওয়ার্ল্ড টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন তিনি। তারপর ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে ‘সুজানা’ চরিত্রে অভিনয় করে হন প্রশংসিত। সে বছরই শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘আবার হাসিমুখ’ গানের মিউজিক ভিডিওতে তাকে দেখতে পাওয়া যায়। পরে ২০১৫ সালে তিনি একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’। এর মধ্যেই লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিস থেকে আইন বিভাগে স্নাতক শেষ করেন পিয়া। বর্তমানে উচ্চ আদালতে আইনজীবী পেশাতে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন