হোম এক্সক্লুসিভ ‘পিস্তলের বাঁট দিয়ে আমার দাঁত ভেঙেছে এডিসি হারুন’

জাতীয় ডেস্ক:

রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের হাতে নির্যাতিত ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন নাঈম নিজের ওপর হওয়া নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন গণমাধ্যমের কাছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনোয়ার রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের বলেন, হারুন ও তার লোকজন আমাকে ওসির (তদন্ত) কক্ষে নিয়ে মাটিতে ফেলে ১০/১৫ মিনিট ধরে মারধর করে। একপর্যায়ে হারুন তার পিস্তলের বাঁট দিয়ে আমার মুখ থেঁতলে দেন, এতে আমার দাঁত ভেঙে যায়।

জানা গেছে, এডিসি হারুনের মারধরে এই ছাত্রলীগ নেতার সামনের চারটি দাঁত গোড়া থেকে ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও তিনটি দাঁত।

আনোয়ার হোসেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। শনিবার রাতের এ ঘটনায় রোববার দিনভর আলোচনা–সমালোচনার মধ্যে এডিসি হারুনকে প্রথমে ডিএমপির দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। পরে তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়।

আনোয়ার হোসেন নাঈম বলেন, আমি এবং শহীদুল্লাহ হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহম্মেদ মুনীম শাহবাগ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন বারডেম হাসপাতালের সামনে আমার এলাকার বড়ভাই রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। তিনি জানালেন, তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালের চারতলায় পুরোনো দ্বন্দ্ব নিয়ে এডিসি হারুনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর এডিসি হারুন তার পুলিশ ফোর্স ডেকে আমার ওই বড় ভাই এবং শরীফ আহম্মেদ মুনীমকে (ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক) ডেকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যান। আমি উদ্বিগ্ন হয়ে কিছুক্ষণ পর থানায় যাই। গিয়ে দেখি ওসি তদন্তের কক্ষে সবাইকে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে। এডিসি হারুন ও ওসিও মারধর করছেন।

তিনি বলেন, ওসির কক্ষের দরজা টেনে ভেতরে ঢুকতেই ১০ থেকে ১৫ জন আমার ওপর হামলা করেন। আমার মুখে কিলঘুষি মারেন। একপর্যায়ে আমাকে নিচে ফেলে পা দিয়ে লাথি মারেন। হারুন তার পিস্তলের বাট দিয়ে আমার মুখ থেঁতলে দেয়, এতে আমার দাঁত ভেঙে যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন