পিরোজপুর অফিস :
পিরোজপুরের নাজিরপুরে ফারজানা বেগম (২৪) নামের এক গৃহবধুকে হত্যার ন্যায় বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৭আগষ্ট) ওই গৃহবধুর পিতা মোঃ হারুন শেখ নাজিরপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। ওই গৃহবধুর পিতার বাড়ি উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই গৃহবধুর পিতা তার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, গত সাড়ে ৩ বছর আগে উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের মধ্য জয়পুর গ্রামের আফতার মল্লিকের পুত্র সুমন মল্লিকের (২৮) সাথে তার কন্যার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তিনি তার সাধ্যমত স্বর্নালংকার সহ জামাতাকে যাবতীয় উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
কিন্তু বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় তার মাদকাশক্ত জামাতা তার পিতা ও মা রোকেয়া বেগম যৌতুকের জন্য তার মেয়ে সহ তাদের চাপ দেয়। জামাতার পরিবারের চাহিদা মতো বিভিন্ন সময় নগদ টাকা সহ বিভিন্ন মালামাল দেয়া হলেও গত ৩০ জুলাই আবারও তার মেয়ে ফারজানাকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। ওই দিন রাত ৮টার দিকে তার মেয়ে ফোনে টাকার জন্য বলে। ওই টাকা না দিলে মেয়েকে হত্যা করা হবে বলে মেয়ে জানায়।
পরের দিন ৩১ জুলাই সকালে জামাই বাড়ির পাশের এক লোক ফোনে জানান তার মেয়ে অসুস্থ। কিছুক্ষন পরে জামাই বাড়ির পাশের রমজানের মা হেনা বেগম নামের এক নারী ফোন করে বলেন, আপনার মেয়ে মারা গেছে। পরে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মেয়েকে মৃত্যু অবস্থায় দেখতে পাই। তিনি আরো অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে খাবারের সাথে বিষক্রিয়া করে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার মুখে পুন:রায় বিষ ঢেলে দেয়া হয়েছে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ওই গৃহবধুর পিতা তার কন্যার উপর জামাতা কর্তৃক বিভিন্ন সময় লোম হর্ষক নির্যাতনের কথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ ব্যাপারে থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ মো.মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, ওই লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।