স্পোর্টস ডেস্ক:
৩৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেখান থেকেই পথ হারানো শুরু টাইগারদের। মার্কো ইয়েনসেনের করা সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে লিজাড উইলিয়ামস ফেরান সাকিব আল হাসানকে। মাত্র ৮ বলের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৩৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪২ ওভার ৪ বলে ৩৫২ রান।
এর আগে টস হেরে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুতেই বড়সড় ভুল করেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে স্লিপে রিজা হেন্ডরিকসের ক্যাচ ছেড়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে সেই ভুলের মাসুল তেমন একটা দিতে হয়নি টাইগারদের। ষষ্ঠ ওভারে রিজাকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ ধরিয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
হেন্ডরিকস আউট হওয়ার পরের ওভারেই ফন ডার ডুসেনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদী মিরাজ। মিরাজের অফস্পিন বলটা ফাইন লেগে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ডানহাতি এই ব্যাটার।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়েও কুইন্টন ডি কক এবং এইডেন মার্করামের জুটিতে দ্রুত ম্যাচে ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ১৩১ রানের জুটি গড়েন এইডেন মার্করাম এবং ডি কক। ৬০ রান করা মার্করামকে লং অফে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাকিব।
জুটি ভেঙে অবশ্য আরও বড় বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। পাঁচে নেমে ক্লাসেন রীতিমতো টর্নেডো ব্যাটিং করেছেন। সেঞ্চুরির পর ডি ককও বাড়ান রানের গতি। ১৩২ রানের বিধ্বংসী জুটিতে তারা বল খেলেছেন মোটে ৮৭টি।
১৫ চার এবং ৭ ছয়ে ১৪০ বলে ১৭৪ রান করেছেন ডি কক। ৮ ছক্কা ও ২ চারে ৪৯ বলে ৯০ রানের দানবীয় ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন ক্লাসেন।
ডাবল হান্ড্রেড করার সম্ভাবনা তৈরি করে শেষমেশ ১৭৪ রানে ফেরেন ডি কক। ক্লাসেনেরও সুযোগ ছিল সেঞ্চুরির। তবে দুজনকেই আউট করেছেন হাসান মাহমুদ। তবে ততোক্ষণে রানের পাহাড় গড়ে ফেলেছে আফ্রিকান দলটি। শেষদিকে ১৫ বলে ৩৪ রানের ক্যামিওতে ৩৮২ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।