জাতীয় ডেস্ক :
কক্সবাজারের টেকনাফে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারিক হাকিম আব্দুর রহিমের আদালত এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ লেদা এলাকার আব্দুল সালামের ছেলে নুরুল আলম এবং একই এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে হেলাল উদ্দিন ও মোহাম্মদ কাশিমের ছেলে মমতাজ মিয়া।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. একরামুল হুদা।
মামলার নথির বরাতে আইনজীবী একরামুল হুদা বলেন, গত ২০০৩ সালের ৫ এপ্রিল বিকেলে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ লেদা এলাকায় বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে লাকড়ি কুড়াতে যায় স্থানীয় এক শিশু। লাকড়ি সংগ্রহ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে একা পেয়ে ৪/৫ জন বখাটে মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বাদী হয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়ার পর দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচারক যাবজ্জীবন সাজার এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী একরামুল হুদা।
তিনি বলেন, মামলায় সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করে সাজার রায় দেন। এ ছাড়া জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মামলার এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা জামিনে বের হয়ে পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।