হোম অন্যান্যসারাদেশ পাহাড়ের ১০০ স্কুলে চালু হচ্ছে স্টারলিংক সেবা

পাহাড়ের ১০০ স্কুলে চালু হচ্ছে স্টারলিংক সেবা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 50 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
সামগ্রিক সুযোগ সুবিধাসহ নানা সমীকরণে সমতলের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষাখাত। পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে নানা মুখী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই আওতায় পাহাড়ের ১০০ স্কুল যুক্ত হচ্ছে স্টারলিংক সেবার আওতায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনতে নেওয়া হচ্ছে এ উদ্যোগ। পাহাড় যেহেতু দুর্গম এলাকা। এখানে সহজে নেটওয়ার্ক সেবা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া নেই উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, সেই কারণে বিদ্যুৎ সেবাও পৌঁছানো যাচ্ছে না। এসব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তুলতেই স্কুলগুলো যুক্ত হচ্ছে স্টাররিংক সেবার আওতায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার আগামী ৯০ দিনের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) ১০০টি বিদ্যালয়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগ চালু করতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুপাত হিসেবে করে কোন জেলায় কয়টি স্কুলে এ সেবা প্রদান করা হবে সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপশীল সরকারি প্রথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৈকদ দাশ রুবেল বলেন, বর্তমান যুগে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার না জানলে পিছিয়ে থাকতে হয়। পাহাড়ে তথ্য প্রযুক্তির সুযোগ না থাকার আমরা এখনো পিছিয়ে আছি এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। পাহাড়ে স্টার লিংক চালু হলে শিক্ষা ব্যবস্থাসহ দৈনন্দিন জীবনে এখানকার বাসিন্দারা এর সুফল ভোগ করবে।

রাঙামাটি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল রণি ধর বলেন, আধুনিক বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তি সেবা পাওয়ার কারণে। আমাদের এখানে প্রযুক্তি সেবা না থাকায় শিক্ষাখাত থেকে শুরু করে সার্বিক সব খাতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। সরকার যখন শিক্ষা খাতের উন্নয়নে দুর্গম এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে স্টারলিংক সেবা চালু করছে শুনে আমাদের মধ্যে অনেক ভালো লাগছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা উন্নত এবং আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সুবিধা পাবে।

রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক বলেন, পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থা সবসময় সমতলের ছেয়ে পিছিয়ে ছিলো। বর্তমান সরকার তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়ন ঘটিয়ে এ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের বিপ্লব ঘটাতে যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তবে আমি মনে করছি প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে চাইলে আগে প্রযুক্তি পরিচালনা করার জন্য দক্ষকর্মী তৈরি করতে হবে। তা না হলে এ কার্যক্রম থমকে যেতে পারে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা খাতের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়নের জন্য কোয়ালিটি এডুকেশনের বিকল্প নেই। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে স্টারলিংক ব্যবহারের মাধ্যমে ১০০টি স্কুলে ডিজিটাল কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হয়েছে এবং আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ১০০টি স্কুলে স্টারলিংক ব্যবহারে অনলাইন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, বিভিন্ন ভাষাভাষি সম্প্রদায়ের ভাষা ও বর্ণমালাগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রাইমারি স্কুল লেভেলে ভাষাভিত্তিক বই মুদ্রণ করা হচ্ছে এবং স্থানীয় ভাষা শিক্ষকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন