আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পৃথিবী ছেড়ে বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর প্রতিযোগিতার নতুন ক্ষেত্র এখন মহাকাশ। এবার জানা গেছে, চাঁদে পারমাণবিক বিদ্যুতের একটি ইউনিট স্থাপনের কথা বিবেচনা করছে চীন ও রাশিয়া, যা পাঠানো হতে পারে ২০৩৩-৩৫ সালের মধ্যে!
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের প্রধান ইউরি বরিসভ এ কথা জানিয়েছেন। রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ’র বরাতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্ব যুব উৎসবের এক অনুষ্ঠানে বরিসভ বলেছেন, ২০৩৩-২০৩৫ সালের মধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পাঠানো ও স্থাপনের বিষয়টি আমরা (চীনের সঙ্গে) সত্যিকার অর্থে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি।
তিনি বলেছেন, ‘এমন মিশন তেজস্ক্রিয়তা নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করা হবে।’
বরিসভ দাবি করেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রয়োজনীয়তার সমস্যাগুলো বাস্তবিকভাবে সমাধান করা হয়েছে।
এর প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ফলে চাঁদে পরবর্তীতে পাঠানো সরঞ্জামের সক্রিয়তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। চাঁদে জ্যোতির্বিদদের ব্যবহৃত প্রচলিত সৌরশক্তির ব্যাটারি ব্যবহার করা যায় না।
রাশিয়া ও চীন মহাকাশের নিরাপত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অস্ত্র তৈরি নিয়ে আলোচনা করছে বলে নিশ্চিত করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ কথা জানিয়েছেন বরিসভ।