পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনা সাঁথিয়ায় বর্তমান সরকার শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার করে তৃনমূলের সাধারন জনগনের মাঝে লিফলেট বিতরন ও আবারো নৌকার ভোট প্রার্থনা করেন ইব্রাহিম হোসেন মুন।
বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যায় সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম বাজার এলাকায় বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচারে করে পথসভা করেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা ০১ আসন সাঁথিয়া-বেড়ায় নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ ইব্রাহিম হোসেন মুন। তিনি সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বর্তমান নির্বাহী সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি অত্যন্ত দূরদিনে ২০০৩-২০১০ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছি। অদ্যবধি আপনাদের সাথে থেকে দলীয় সামাজিক এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড জনতার দ্বারপ্রান্তে পৌছানোর কাজ অব্যহত রোখেছি।
আগামী দিনেও আপনাদের পাশে থেকে সেবা করতে চাই। আমি জেল জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। নেত্রীমুক্তি আন্দোলন, গ্রেনেড হামলা, ১/১১ সরকার, খালেদা-নিজামী সরকার সহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে একাধিকবার কারাবরণ করেছি। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নীল নকশা নির্বাচনের পরের দিন আমার বসতবাড়ি জামাত-শিবির আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। কশাই শিবির দ্বারা একাধিকবার মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত ক্ষতচিহ্ন নিয়ে বেঁচে আছি। ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শিবিরের সাধারন সম্পাদক নোমানী হত্যা মামলা সহ ৩৯টি রাজনৈতিক হয়রানিমুলক মামলার শিকার হয়েছি।
তিনি আরো বলেন অনেকে মনে করেন নতুন লোক দলে আশা মানেই হাইব্রিড। আসলে এই কথাটি হচ্ছে ভুল কথা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি “মাল্টিপ্লাস ডেমোক্রেসি অরগানাইজেশন” এই সংগঠনে জাতির পিতাকে ভালোবেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালোবেশে, আমার প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে তার জনসভায় দেখতে এসে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তাহলে নতুন যোগদান যারা করছেন, আমরা তাদেরকে হাইব্রিড বলতে পারি না। তাহলে বলতে পারেন হাইব্রিড কারা? হাইব্রিড হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, সে ব্যক্তি আওয়ামী লীগ করতে পারে, সে ব্যক্তি এমপি হতে পারে, সে ব্যক্তি মন্ত্রী হতে পারে। যদি ঐ ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে ব্যবহার করে, শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করে, দলকে ব্যবহার করে এই ১৪ বছরে শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছে। শূন্য থেকে হাজার কোটি টাকার মানুষ হয়েছে হাট, ঘাট, বাজার ইজারা দখল করে ক্যাডার দিয়ে রাজনীতি করিয়েছে। জামায়াত বিএনপি থেকে লোক টেনে নিয়ে এসে তাদের সঙ্গে নিয়ে নিজে ধনি হয়েছে এবং তাদেরকে আঙ্গুল ফুলিয়ে কলা গাছ বানিয়েছে। ঐ সমস্ত জনপ্রতিনিধি ঐ সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরা হচ্ছে মূলতো হাইব্রিড। নতুন যারা দলকে ভালোবেশে দলকরতে আসেন তারা হচ্ছে মূলতো আমাদের জন্য আশির্বাদ। তাই বলবো আওয়ামী লীগে এবং নৌকায় বিশ্বাস রাখুন সামনে আরো ব্যপক উন্নয়ন সাধিত হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ৬৮, পাবনা-১ সাঁথিয়া-বেড়া নির্বাচনি এলাকার সর্বস্তরের জনগনের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করি।