হোম অর্থ ও বাণিজ্য পাটপণ্যের রফতানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান

পাটপণ্যের রফতানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 62 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রফতানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মতিঝিলে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমএ) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, পাট দেশের প্রধান রফতানি পণ্য ছিল। কিন্তু আমাদের গর্বের পাট অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল। তবে বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রফতানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

পাটশিল্পের বেসরকারি খাতের উদ্যোগকে আরও উৎসাহিত করা হবে জানিয়ে পাটমন্ত্রী বলেন, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে সফল হতে পারব। পাটশিল্পকে এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোগ উৎসাহিত করার জন্য যা যা করণীয়, তা-ই করা হবে। কর্মচাঞ্চল্যতা, মেধা মস্তিষ্কের সমন্বয়ে পাটপণ্যকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত হিসেবে তৈরি করতে সক্ষম হব।

পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সম্প্রতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত আম্বিয়ান্তে ফেয়ারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমি মেলায় বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য দেশের স্টল পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পাটজাত পণ্যের ডিজাইন ও নিউ ট্রেন্ড দেখেছি। আমি খুবই আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ করেছি আমাদের অনেক উদ্যোক্তা চমৎকার পরিবেশবান্ধব পণ্যসামগ্রী নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় অংশগ্রহণের ফলে আমি আত্মবিশ্বাসী হয়েছি, এ মেলার অভিজ্ঞতা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাটসচিব মো. আব্দুর রউফ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিজেএমএ চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন প্রমুখ।

এর আগে সকালে জাহাঙ্গীর কবির নানক মতিঝিলে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা পাটের জীবন রহস্য উদ্ঘাটনের মাধ্যমে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ তৈরি করতে পেরেছে। পাট থেকে সোনালি ব্যাগের উৎপাদন কত দ্রুত করা যায় সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমেই পাটশিল্পকে আমরা লাভজনক করতে পারব।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন