হোম অন্যান্যসারাদেশ পাটকেলঘাটায় সরুলিয়া ইউপি সদস্য নাসেরের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কার্ডের নামে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

পাটকেলঘাটায় সরুলিয়া ইউপি সদস্য নাসেরের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কার্ডের নামে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 104 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:
মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে পুরো বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন সংকটে প্রায় । বাংলাদেশের অসহায়,কর্মহীন,সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য ত্রান সহ বিভিন্ন ভাবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মানবিক সহয়তা প্রদান করছেন। বর্তমান পেক্ষাপট অনুযায়ী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশে মানবিক সহায়তা কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য শস্য সহ আর্থিক সহয়তা প্রদানের ঘোষনা দিয়েছেন।এরই অংশ হিসেবে তালা উপজেলায় ৩নং সরুলিয়া ইউনিয়নের চলছে তালিকা প্রনয়ন । এই তালিকা প্রনয়নয়ে ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নাসের সরদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ,দুনীতির ও স্বজনপ্রতির অভিযোগ উঠেছে। সরুলিয়া ইউনিয়নের মানবিক সহয়তা কার্ডে বরাদ্ধ হয় ৮২০টি।এরই মধ্যে ৭৮টি ১নং ওয়ার্ডে তালিকায় যাচাই-বাচাই করে দেখা গেছে একই নামে দু’বার কার্ড,ভিজিডি,খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী কার্ড, নিজের পরিবার পরিজনের নামে তালিকাসহ স্বচ্ছল পরিবারের নামে মানবিক সহায়তা তালিকায় নাম অর্šÍভূক্ত হয়েছে।
বুধবার(১৩মে)সরজমিনে গিয়ে তথ্যানুসন্ধান করতে গেলে সরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন টিটো বলেন, ইউপি সদস্য নাসের সরদার দেওয়া তালিকায় দেখা গেছে সিরিয়াল অনুযায়ী ২নং আয়ুব আলী ভিজিডি, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী ২টা কার্ড, ৭নং সিরিয়ালে ৭নং নাসরিন নাহার ও ৭৮ নং ডবল নাম হয়েছে,১০ সিরিয়ালে গুলনিশান বেগম স্বামী বিদেশ,১২নং সিরিয়াল সিদ্দিক গাজী পিতার নামে চাউলের কার্ড,১৯নং তপন কুমার ঘোষ সরুলিয়া বাজারের বড় মুদির দোকান,২২নং অসিম কুমার ঘোষ নামে ২টা মিষ্টি দোকান,২৬নং সুব্রত কুমার বাড়ী দোতলা তৃষ্ণা সুইটস মালিক,২৭নং সন্ধ্যা রানী ঘোষের যৌথ পরিবার ছেলে ব্রাকে চাকুরি ও পুত্র বধু সরকারী প্রাইমারী শিক্ষক জমি ১০ বিঘা, ২৯ নং উত্তম ঘোষ ডিস লাইনের মালিক,৩০ ঝরনা রানী ঘোষ দোতলা বাড়ী ও ছেলে সেনা বাহিনী চাকুরি করে,৩৪নং আন্জুয়ারা বেগম জমি আছে ২০ বিঘা এবং ছেলে প্রায় ১লক্ষ টাকা বেতন পায়,৪২নং আশরোপ সরদার জমি ৭বিঘা পাকা বাড়ী,৪৮নং মাসুদ রানা পেশায় প্রকোশলী মায়ের নামে ৩ কেজি চাউলে কার্ড এবং পাকা বাড়ী,৫৪নং রিয়াজ আলি ৮/১০ বিঘা জমির মালিক এবং পুত্র বিদেশ থাকে,৬২নং আব্দুল খালেক ইউপি সদস্য ভাই ৭ বিঘা জমির মালিক,৬৯নং নুরুজ্জামান স্ত্রীর নামে ৩ কেজি চাইলের কার্ড এবং বড় পাকা বাড়ী,৭১নং নিয়তি রানী ঘোষ স্বচ্ছল পরিবার,৭৪নং শুশান্তমিত্র সরুলিয়া বাজারের মন্দিরের পাশে বহু দোকান,৭৭নং মুজিবর স্বচ্ছল পরিবারসহ বহু অপকর্মে হোতা এ ইউপি সদস্য নাসের সরদার। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও প্রধান মন্ত্রী আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্ধ নিয়ে সে ঘরে বসবাস করছেন। এবং তার স্ত্রীর নামে ৩ কেজি ভিজিডি কার্ড রয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে ঘর,বয়স্ক,বিধবা,ভিজিডি,খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী টাকা বিনিয়মে কার্ড দ্ওেয়ার অভিযোগ আছে ।দেলোয়ার হোসেন টিটু র্আও বলেন, আমি ঐ তালিকা প্রত্যেকটি যাচাই করে দেখেছি ২২/২৩টি নামের মধ্যে স্বচ্ছল পরিবারে নাম অন্তভূক্ত করেছে। এ থেকে প্রকৃত হতদরিদ্ররা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে । ওয়ার্ডে দায়িত্বরত যাচাই-বাচাই থাকা ইউনিয়ন ভীমি কর্মকর্তা আমিন খান চেীধুরী স্থানীয় ইউপি সদস্য সাথে নিয়ে যাচাই বাচাই করেছে। এবং এলাকাবাসী এ তালিকা চাই সুষ্ট যাচাই -বাচাই করে তালিকা প্রস্তুত করা হোক।

দূনীতি,অনিয়ম ও স্বজনপ্রতি অভিযোগ বিষয়ে সরুলিয়া ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য নাসের সরদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না ।
একই ওয়ার্ডে মহিলা ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগমের কাছে জানতে চাইতে তিনি বলেন আমি মাত্র ৮/ ৯টি নাম দিয়েছি। বাকী সব তালিকা নাছের মেম্বর করেছে ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিয়োগ কৃত সরুলিয়া ইউনিয়নে ট্যাক অফিসার প্রভাষ কুমার দাস’র কাছে অনিয়ম দূনীতি বিরুদ্ধে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যদি স্বচ্ছল পরিবার ও বিভিন্ন সুবিধা ভোগী তালিকায় নাম বাদ যায় তাহলে আমরা পুনরায় সংশোধন করে দিব।
বিষয়টি নিয়ে সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এখন শারিকিভাবে অসুস্থ তবে বিষয়টি আমি দেখছি । এছাড়া ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা আছে তারা বিষয়গুলো যাচাই করে দেখছেন আশা করছি আমার ইউনিয়নে তালিকা প্রনয়নে কোন প্রকার অনিয়ম দুনীতি হবেনা ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন