জামালউদ্দীন..
স্যোসাল মিডিয়ায় ঘোষনা দিয়ে রাতের আঁধারে মধ্যবিত্ত ঘরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে মানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত রেখে চলেছে পাটকেলঘাটার এক তরুণ। গত ১ সপ্তাহ যাবৎ এ মানবিকতা রেখে চলেছেন তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ ফরাদুজ্জামান কংকন। প্রকৌশলী ডিগ্রী অর্জন করে মৎস্য চাষে নিজেকে সপে দিলেও দেশের এ দূর্যোগকালীন সমায়ে আত্বমানবতার সেবায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করে সমাজের মানুষের কাছে প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে।
সকলে যখন অসহায়,কর্মহীন, দরদ্র মানুষের পাশে তখন কংকন স্যোসাল মিডিয়ায় ঘোষনা দিয়েছে করোনার সময়ে যে সমস্থ মানুষ চাইতে পারে না, ত্রানের তালিকায় নিজের নাম লেখাতে লজ্জাবোধ করছে ঐ সব মানুষের ঘরে খাবার পৌছে দেওয়ার গুরু দ্বায়িত্ব পালন করছে তরুন এ সমাজসেবক। গত ২০ শে এপ্রিল রাতে নিজস্ব গাড়ীতে করে মধ্যবিত্তেরর ঘরে খাবার দিয়ে ফিরছিল এ তরুন।সময় তখন রাত ১১ টা।পাটকেলঘাটা বাজারের গোলাম হোসেন মার্কেট এর সামনে এক ভ্রাম্যমান চা বিক্রতার কাছে দাঁড়িয়ে চা পানে ব্যস্ত ছিলেন এ প্রতিবেদক।এমন সময় মার্কেট এর এক দোকানদার কে একটি খাবারের প্যাকেট দিচ্ছিল কংকনের সাথে থাকা ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ হাসান অনিক ।
এ সময়ে কংকন এ প্রতিবেদককে জানান,আমার পিতা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দ্বায়িত্ব পালন করলেও দূর্যোগমুহুর্তে আমাদের হাতে সরকারি সহায়াতা দেওয়ার মত ক্ষমতা নেই।তাই বলে বসে থাকতে পারি না।আমাদের পরিবার ত্যাগ করতে শিখিয়েছে।আমার পিতা কয়েকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনীত হয়েছেন।দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তে শরিকদল কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।তা মেনে নিয়েছি।আমার দাদা ও এক চাচাকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকহায়নার দল নির্মম ভাবে হত্যাঁ করছে। আজ সারা বিশ্ব সহ আমাদের দেশে মহামারী করোনা ভাইরাসে মানুষ আতংকিত।মানুষের ঘরে খাবার নেই।
সরকার প্রথম অবস্থায় দরিদ্রদের সহায়াতা করলেও মধ্যবিত্তদের খবর কেউ নিচ্ছে না।আমি আমার সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। শেষ পর্যন্ত থাকবো।ঠিক সেই সময় অতি দরিদ্র চা বিক্রতার হাতে গাড়ী থেকে আরও একটি প্যাকেট নামিয়ে দিয়ে যায়।দুজনার সম্মতিতে ছবি নিয়ে পাঠকের খোরাক জুগিয়েছি।এলকাবাসীর দাবী সরকারি- সহযোগীতা অপ্রতুল। তাই এ মহা বিপদে সম্মিলিত ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ান।