আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার রেলওয়ে স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৫০ জন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) কোয়েটা সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসএসপি) অপারেশন্স মোহাম্মদ বালুচ সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটিকে প্রাথমিকভাবে আত্মঘাতী হামলা বলে মনে হচ্ছে। তবে তা নিশ্চিত নয়। বিস্ফোরণের ধরন নির্ধারণে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
এসএসপি বালুচ সাংবাদিকদের আরো বলেন, ফুটেজ অনুযায়ী ঘটনাস্থলে শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিস্ফোরণের সময় একটি ট্রেন পেশোয়ারের উদ্দেশে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানা গেছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে।
বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্ড এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বিস্ফোরণের প্রকৃতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করছে। এছাড়া ঘটনার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোয়েটায় হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম ডন ঘটনাস্থলের ফুটেজে দেখিয়েছে, রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে, একে নিরীহ মানুষদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর ধারাবাহিকতা বলেছেন।
এক বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী বুগতি আরো বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের লক্ষ এখন নিরীহ মানুষ, শ্রমিক, শিশু এবং নারী। যারা নিরীহ মানুষদের লক্ষ্যবস্তু বানায় তারা করুণা পাওয়ার যোগ্য নয়।’
বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বেলুচিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা মানুষ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য নয়। তারা মানবতা থেকে বিচ্যুত; পশুর চেয়েও অধম।’
সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সরকারী সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা বেলুচিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করব।’
এর গত আগস্টে বেলুচিস্তান প্রদেশের এক পুলিশ স্টেশনে আলাদা জঙ্গি হামলায় অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়েছিল।
সূত্র: ডন নিউজ