আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার দলকেও ব্যাট প্রতীক না দিয়ে নির্বাচনে অকার্যকর করা হয়েছে। তবে বিকল্প হিসেবে পিটিআইয়ের সব প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবেই লড়ছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি স্বতন্ত্র হিসেবে পিটিআইয়ের বেশিরভাগ প্রার্থী জয়ী হয়, তাহলে ক্ষমতায় কে আসবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। এতে অংশ নিচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন, বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপিসহ ছোট-বড় প্রায় ১৪টি রাজনৈতিক দল।
তবে নির্বাচনের মাঠে নামতে দেয়া হয়নি পিটিআইকে। নানা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে, দেয়া হয়েছে কারাদণ্ড। আর এসব মামলার কারণে তাকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কেড়ে নেয়া হয়েছে তার দলের প্রতীক ব্যাটও।
তবে পিটিআইয়ের প্রতীক কেড়ে নেয়ায় দলটির প্রার্থীরা সবাই স্বতন্ত্র হিসেবেই লড়ছেন। দেশটির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশিরভাগই ইমরান খানের দলের। প্রায় ২৩৬ জন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পিটিআই’র শীর্ষস্থানীয় বেশিরভাগ নেতা হয় কারাগারে, না হয় তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। এ অবস্থায় নতুন প্রার্থীদের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে ইমরান খানকে। এতো বেশি স্বতন্ত্রের সংখ্যা দেখা যায়নি গত ১১টি জাতীয় নির্বাচনে।
এ অবস্থায় গ্যালাপ পাকিস্তানের এক জরিপে দেখা গেছে, জনপ্রিয়তায় সবার শীর্ষে আছেন ইমরান খান, তার পক্ষে আছে ৬১ শতাংশ সমর্থন। তার পরের অবস্থানে আছেন নওয়াজ শরীফ, তার সমর্থন ৩৬ শতাংশ। ইমরান নির্বাচন করলে তার ঝুলিতেই বেশিরভাগ ভোট পড়তো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আর এ কারণে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি সুষ্ঠু ভোট হয় এবং স্বতন্ত্র হিসেবে পিটিআইয়ের বেশিরভাগ প্রার্থী জয়ী হয় তবে পার্লামেন্টে রাজত্ব করবে তারা। সৃষ্টি হবে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের। এমনিতেও কোনো একটি দল নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেটি হলে সরকার গঠন করতে জোট বাধবে কোন কোন দল, আর স্বতন্ত্রদের ভূমিকা কী হবে; তা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।