আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের করাচির মালির জেল থেকে অন্তত ২১৩ জন কয়েদি পালিয়েছে। পলাতক কয়েদিদের ধরতে বড় আকারের অভিযান শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ জুন) পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর ডন ও জিও নিউজের।
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেল থেকে পালানোর সময় অন্তত একজন নিহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত অন্তত ৮০ জন কয়েদিকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ১৩০ জনের বেশি কয়েদি এখনো পলাতক।
জেল সুপার আরশাদ শাহ বলেছেন, ভূমিকম্পের সময় ৪ ও ৫ নং সার্কেলের বন্দিদের যখন তাদের ব্যারাক থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল তখনই জেল থেকে পালানোর ঘটনা ঘটে।
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে ওই সময় ছয় শতাধিক বন্দি সেলের বাইরে ছিল। সেইসময় বিশৃঙ্খলার মধ্যে ২১৩ জন পালিয়ে যায়। সিন্ধুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর প্রিজনব্রেক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
পাকিস্তান জেল
তিনি জানান, সরিয়ে নেওয়ার সময় ৭০০-১০০০ কয়েদি প্রধান গেটের সামনে জড়ো হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন কয়েদি জোরপূর্বক গেট খুলে পালিয়ে যায়। জিয়া-উল-হাসান জানান, অন্তত ৪৬ জনকে ধরা হয়েছে, অন্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
তবে দেশটির পুলিশের কর্মকর্তারা এর আগে জানান, জেলের বাইরের দেওয়াল ভেঙে কয়েদিরা পালিয়েছে। তাদের ভাষ্য, গত রোববার থেকে স্বল্পমাত্রার একাধিক ভূমিকম্পের কারণে দেওয়ালটি নড়বড়ে হয়ে যায়।
ভারতকে নিজেদের অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে দেখছে পাকিস্তানভারতকে নিজেদের অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে দেখছে পাকিস্তান
সিন্ধু পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) গোলাম নবী মেমন মঙ্গলবার ডনকে বলেছেন, সোমবার রাতে মালির জেল থেকে ২০০ জনের বেশি কয়েদি পালিয়েছে। অনবরত ভূমিকম্পের সময় যখন কয়েদিদের নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছিল তখনই তারা পালিয়ে যায়।