আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের সদ্যসমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কারচুপির খবরে নতুন করে উদ্বেগ জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, পাকিস্তানের নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনে ‘ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন ও দমন’ নিয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এখনও প্রতিবেদন দিচ্ছেন। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে এখনও উপসংহারে যেতে চাচ্ছি না।
এরআগে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, জোট সরকার গঠনের চেষ্টা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ম্যাথিউ মিলার আরও বলেন, আপনারা দেখে থাকবেন, সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা আছে এমন অনেক দেশে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারলে তারা জোট গঠন করেছে। তবে এটা যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত নয়। এটা একান্তই পাকিস্তানের সিদ্ধান্ত।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিলার আরও বলেন, এটা স্পষ্ট যে, পাকিস্তানের নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক ছিল। সরকার গঠন হয়ে গেলে আমরা তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তথা জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনে দেখা দিয়েছে অনিশ্চতা। এছাড়া নির্বাচনে অনিয়ম ও ফল কারচুপির অভিযোগে বিক্ষোভ ও আন্দোলন শুরু হয়েছে।
নির্বাচনের ফলাফলে সবচেয়ে বেশি (৯৭টি) আসন পায় কারাবন্দি ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থীরা। সেনাবাহিনীর আশীর্বাদ ও নির্বাচনের মাঠে সবরকম সুযোগ-সুবিধা সত্ত্বেও ৭৫টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় হয় নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)। আর ৫৪ আসন নিয়ে তৃতীয় হয় পাকিস্তান পিপল’স পার্টি (পিপিপি)। এছাড়া ১৭ আসন পেয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে আসে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি)। কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা তথা এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৪টি আসন না পাওয়ায় জোট সরকার গঠনই অবধারিত হয়ে ওঠে।